নরসিংদীতে শিশু স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত লম্পট ধর্ষক হৃদয় পলাতক

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ  নরসিংদীতে শিল্প ও বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে খ্যাত মাধবদী’র কোতায়ালীরচর দড়িকান্দী গ্রামে শিশু স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মাধবদী’র ছোট রামচন্দ্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিশু স্কুল ছাত্রীকে হৃদয় ও বাশার নামে ২ কোলাঙ্গার জোড়পূর্ব্বক ধর্ষন করার এক বিস্ময়কর সংবাদ পাওয়া গেছে।

একই এলাকার মৃত মিজানুর রহমানের লম্পট ২ পুত্র হৃদয় মিয়া(১৯) ও আবুল বাশার মিয়া (২৫) ঘটনার রাত ০৮ টায় বাড়ির আঙ্গিনা থেকে মুখ চেঁপে ধরে অনতিদূরে খোলা মাঠে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় পাষন্ড আবুল বাশার ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও লম্পট হৃদয় শিশু স্কুল ছাত্রী মণি আক্তারকে (০৯) হাত-পা ও মুখ বেঁধে জোড়পূর্ব্বক ধর্ষনসহ শারীরিক নির্যাতন চালায়। এদিকে বাড়ীর লোকজন শিশু স্কুল ছাত্রীটিকে খোঁজাখোঁজি করে না পেয়ে অবশেষে ঘটনাস্থল পরিত্যক্ত ঘরে প্রবেশকালে উপরোক্ত পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। এ সময় বাড়ীর লোকজনের উপস্থিতি নিশ্চিত আঁচ করতে পেরে লম্পট ধর্ষক হৃদয় উপর্যুপুরি  নির্যাতনশেষে শিশু স্কুল ছাত্রীটিকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কৌশলে পরিত্যক্ত ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতা শিশু স্কুল ছাত্রীটির পিতা-মাতাসহ বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে নির্যাতিতা শিশু স্কুল ছাত্রীটিকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার নির্যাতিতা শিশু স্কুল ছাত্রীর ঘটনায় পিতা মোঃ রফিকুল ইসলামসহ বাড়ির লোকজন স্থানীয় মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পাশবিক নির্যাতনের এ ঘটনাটি আমলে না নিয়ে কালক্ষেপন করে। অবশেষে ঘটনার ২ দিন পর নির্যাতিতা শিশু স্কুল ছাত্রীর ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে নরসিংদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে লম্পট ধর্ষক হৃদয় ও বাশারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং- ৫৪১/১৭।

চাঞ্চল্যকর শিশু স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ বিচারক উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতারী পরোয়ানাসহ মাধবদী থানা’কে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার পর থেকে দায়েরকৃত মামলার আসামী লম্পট হৃদয় ও বাশার’র পরিবার-পরিজনসহ পলাতক রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাধবদী থানা পুলিশ অভিযুক্ত আসামীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশু স্কুল ছাত্রীর চাঞ্চল্যকর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশসহ অনতিবিলম্বে আদালতের প্রদেয় নির্দেশানুযায়ী অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতনমহল ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক (এনএনপিএন), মানবাধিকার সংস্থা এমডিএস।