না’গঞ্জের সাত খুন আরো এক ফাঁসির আসামীর আত্নসমর্পন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদ-প্র্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের ঘনিষ্ট সহযোগি ওয়াহিদুজ্জামান সেলিম মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্নসমর্পণ করেন। গত ১৬ জানুয়ারি আদালত ওয়াহিদুজ্জামান সেলিম সহ ২৬ জনকে ফাঁসির দন্ড প্রধান করেন। এতাদিন আসামী সেলিম পলাতক ছিলেন। আত্নসমর্পনের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মঙ্গলবার বেলা ২টায় ওয়াহিদুজ্জামান সেলিম জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পন করে। তিনি আদালতে আতœসমর্পন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার প্রার্থনা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর আরো জানান, ওয়াহিদুজ্জামান সেলিম সাত খুন মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামী  নূর হোসেনের অন্যতম সহযোগি। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল তৎকালীন নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার সহ ৭ জন অপহরণের পর নূর হোসেনের সঙ্গে সেলিমও ভারতে পালিয়ে যান। প্রায় এক বছর ভারতে পালিয়ে থাকার পর ২০১৫ সালের ১৪ জুন নূর হোসেনের সঙ্গে তাকেও ভারতীয় পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রায় সাড়ে ৫ মাস কারাভোগের পর ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর সেলিম জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো আতœগোপনে চলে যান। তার অনুপস্থিতিতে আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
আগে একই মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক সাবেক র‌্যাব সদস্য সিপাহী আব্দুল আলীম একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং অপর র‌্যাব সদস্য সার্জেন্ট এনামুল কবীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

উল্লেখ, সাত খুন মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ দায়রা ও জেলা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সাবেক নাসিক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাব-১১’র চাকুরীচ্যুত সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন। এছাড়া এই মামলায় আদালত আরো ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ১২ জন পলাতক ছিলেন। রায় ঘোষনার পর পলাতকদের মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব’র সাবেক সার্জেন্ট এনামুল কবীরকে মাগুরা জেলা পুলিশ গ্রেফতার করে। ফেব্রুয়ারি তাকে নারায়ণগঞ্জে পাঠানো হলে জেলা জজ আদালত জেলা কারাগারে পাঠান। এ ছাড়া গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে র‌্যব-১১’র সাবেক সিপাহী আবদুল আলীম আতœসমর্পন করলে আদালত তাকেও জেলা কারাগারে পাঠান।