পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ নেতা বিপুল চাকমা অবশেষে জামিনে মুক্ত

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: ৭৯ দিন কারা ভোগের পর বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা খাগড়াছড়ি জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারী ২০১৭) খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইনামুল হক ভূঁইয়া বিষ্ফোরক আইনের মামলা (জিআর ১৯১/১৪)-এর জামিন মঞ্জুর করলে সন্ধ্যা ৭টায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিপুল চাকমা নেতা-কর্মী, সমর্থক ও জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা দেশ, জাতি ও সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে আন্দোলন করছি। এতে জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হবো–এটা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে মেনেনিতে হবে।

আমি কারাগারে থাকলেও একটুও বিচলিত হইনি। আমি মনের দৃঢ়তা নিয়ে কারাগারের দিন গুলো অতি বাহিত করেছি।
তিনি আরো বলেন, সরকার শাসক গোষ্ঠীর সকল অশুভ-অপশক্তিকে প্রতিহত করে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংগঠনের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে। এদিকে, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতা বিপুল চাকমা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবর পেয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রেণী-পেশার মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর ২০১৬ পানছড়ির নিজ বাড়ি থেকে তাঁর অসুস্থ মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথে পানছড়ি থানার সামনে থেকে ওসি জব্বারের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের গাড়ি আটকিয়ে অসুস্থ মায়ের সামনে থেকে বিপুল চাকমাকে আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে, তাঁকে আটকের ঘটনা সহ্য করতে না পেরে সেদিন দিবাগত রাতেই বিপুল চাকমার মা নিরুদেবী চাকমা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে মারা যান।

এরপর তাঁর পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে কারাগার থেকে তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দিলে পুলিশ বিপুল চাকমাকে হাত কড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে অমানবিক ভাবে তাঁর মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হাজির করলে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি দপ্তর সম্পাদক সুনয়ন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাওয়া যায়।