ফোটার আগেই কী ঝরে যাবে শিমু!

লক্ষ্মীপুর অফিস: মৃত্যু আমোঘ, মহসত্যের নাম । প্রতিটি সেই সেত্যের খুব কাছে দাড়িঁয়ে ও জীবনযুদ্ধ প্রতিনিয়ত লড়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু মৃত্যু সহজে মেনে নেওয়া যায় না। যেমন মেনে নেয়া যায় না  শিমুর অসময়ের চলে যাওয়ার কথা শুনে।

লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী শিমু আক্তার দুরারোগ্য কিডনি রোগে আক্রান্ত। তার দুটি কিডনিই নষ্ট হওয়ার পথে। তাকে বাচাঁতে হলে অন্তত দুটি কিডনী ডাইলোসিস করার প্রয়োজন। খুব দ্রুত কিডনি চিকিৎসা করতে না পারলে ঝরে যাবে এই মেধাবী শিক্ষার্থী শিমু আক্তার।

শিমুর পারিবার থেকে জানানো হয়েছে , লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার  শাকচরের ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের  রানীর বাপের বাড়ির দিন মজুর আবুল বাশারের চার সন্তানের মধ্যে জমজ দুই মেয়ে ছোট বেলা থেকে মেধাবী ছাত্রী।

কিছু দিন থেকে দুই বোনের শরীর খারাফ হলে শিমু, রিমু তাদের দুই বোনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় শিমুর কিডনী দুটি নষ্ট হওয়ার পথে, তার শরীরের ক্যালসিয়াম শুকিয়ে গেছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কতব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অপর দিকে রিমুর পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে দেখা যায় তার পানি বাহিত রোগ জন্ডিস ও লিভার রোগে আক্রান্ত হয়ে জ¦রে ভুক্ততেছে, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিমু অসুস্থ হলে রিমুও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

বর্তমানে শিমু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ ম তলায়  কিডনী বিভাগে ভর্তি রয়েছে। তার কিডনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঔষধ পত্র, কিডনী ডায়ালাইসিস করার জন্য ব্যয় বহুল টাকার প্রয়োজন।
কিন্তু তাদের মতো গরীব পরিবারের পক্ষে এত টাকা যোগান দেয়া কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। তাই মেয়ের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন শিমুর মা।

তিনি সাহায্যের আবেদন করে বলেন , আপনাদের কারও বোন কিংবা মেয়ে যদি এমনভাবে অসুস্থ হয়ে যেত, তাহলে আপনারা কী পারতেন তার চিকিৎসা না করে থাকতে ? আপনারা আমার শিমুকে আপনাদের আদরের ছোট বোন,মেয়ে হিসেবে দেখে সাহায্য করুন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- উল্লেখ্য ,শিমুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর: শিমুর পিতা আবুল বাশার । মোবাইল-০১৮৫৬৮৯১৬৫৫