বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ একটি বড় সমস্যা : চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:ইসলাম ধর্মকে জঙ্গি ধর্মে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জঙ্গিবাদ এটি শুধু আমাদের দেশয়ি সমস্যায় নয় এটি বৈশ্বিক সমস্যা। ৭১’সালের পর থেকে যারা দেশকে বাঁধাগ্রস্থ ও অকার্যকর করতে চেয়েছে তারাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুপে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তিনি আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা প্রথম পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে।তারপর বিভিন্ন ধর্মের লোকদের হত্যার চেষ্টা করেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠানের সাথে এদের কোন সম্পর্ক নেই।

মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, মাদক রোধে জনসচেতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা সরকারিভাবে জনসচেতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও মসজিদের ইমামসহ জনপ্রতিনিধিদের জনসচেতনায় কাজ করতে হবে। তাহলে দেশ থেকে জঙ্গি ও মাদককে রোধ করা সম্ভব হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশীয় জঙ্গিদের যারা অর্থের যোগন দিচ্ছে আমরা তাদের চিহিৃত করছি। যে সকল এনজিও জঙ্গিদের অর্থে যোগান দিচ্ছে তাদের ব্যাপারেও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

দেশে মাদকের আগ্রাসন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একসময় ভারত থেকে ফেনসিডিল আসত। এই ফেনসিডিল আসা বন্ধে ভারত সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সেখানে আমরা কিছুটা সফল হয়েছি। তারা বিভিন্ন সীমান্তে ফেনসিডিল উৎপাদন বন্ধ করেছে। তারা সীমান্তে বেশ কড়াকড়ি করছে যাতে ফেনসিডিল না আসে। এর ফলে ভারত সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল আসা আমাদের দেশে অনেকখানি কমে গেছে। ’

তিনি বলেন, ইয়াবা আসা বন্ধে আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও কথা বলছি। কিন্তু মিয়ানমার সরকার তাদের নীতির জন্য হোক কিংবা তারা একটু ধীরগতিতে চলে সে জন্য হোক, আমাদের সঙ্গে কথা বলার পরেও আমরা তাদের কাছ থেকে সুফল পাচ্ছি না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টিম, বিজিবি নিয়মিত মিয়ানমারে যাচ্ছে। তারাও আসছে। কথাবার্তা চলছে যাতে সীমান্ত নিয়ে ইয়াবা আদান-প্রদান না হয়। বিজিবি, কোস্টগার্ডও সচেতন আছে যেন ইয়াবাসহ কোন ধরনের মাদক আমাদের দেশে না ঢুকে।

গ্রেফতার করে, আইন প্রয়োগ করে মাদক বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এজন্য সামাজিক বিপ্লবের আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, র‌্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন উপজেলার চেয়্যারম্যান বৃন্দ।