বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: রবিবার রাত থেকে চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নগরীর অধিকাংশ এলাকা কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে জন দূর্ভোগ বেড়েছে। জলবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলাচল জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবার থেকে কোথাও মাঝারী কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এমনিতে বেশ কয়েক বছর বন্দর নগরীতে জলবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সামন্য বৃষ্টি ডুবে যায় নগরী নির্মাঞ্চল। তার উপর গত রাত থেকে আজ দিনভর টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর হালিশহর, আগ্রাবাদ বেপারি পাড়া, এক্সেস রোড, ছোটপোল, বড় পোল, আগ্রাবাদ সিডিএ, জিইসি মোড়, চকবাজার, চান্দগাঁও, বাদুরতলা, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, আল ফালাহ গলি, বাকলিয়া, কাতালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে কোথাও হাটু পরিমাণ কোথাও কোমর সমান পানি জমে গেছে।
এতে এসব এলাকার বাসা বাড়ির নীচতলা এবং দোকানপাট অফিস ডুবে গেছে। দুর্ভোগে দিন কাটছে এলাকার জনসাধারণের।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, সাগরে মৌসুমি বায়ুর নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাত থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাতের নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা ভোরের দিকেই তলিয়ে যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৮০ দশমিক ০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। মৌসুমি নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ইতোমধ্যে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা এম এ কাদের জানান, জলবদ্ধতার কবল থেকে আমরা আগ্রাবাদ বাসী রক্ষা পাচ্ছি না। ভোরে ঘুম ভেঙ্গে দেখি পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। আগ্রাবাদ মত অভিজাত এলাকায় এখন চলাচল করতে হচ্ছে নৌকায় করে।

বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল কমে যায়। কোথাও কোথাও সড়কে জমে থাকা পানিতে বাস-অটোরিকশাসহ যানবাহন আটকে গিয়ে ভোগান্তি আরও চরম আকার ধারণ করে।

এ এলাকায় জলবদ্ধতার জন্য অপরিকল্পিত মহেশ খালের ওপর স্লুুইস গেইট নির্মাণকে দায়ি করে বলেন, এ অপদ থেকে আমরা রক্ষা পাচ্ছি না। এ বাঁধ ভেঙ্গে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এখনো ভাঙ্গা হচ্ছে না কেন জানি না।