বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোববার কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকা তৃতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে।

সোমবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছিল ১৮৩।

নেপালের কাঠমান্ডু এবং মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন যথাক্রমে ৩৩১ এবং ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

একিউআই ১০১ থেকে ২০০ মধ্যে থাকলে বিশেষত শিশু এবং বয়স্ক জনগণের মতো সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

সরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং এর ফলে যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে সেসব জানাতে প্রতিদিনের বাতাসের মান প্রকাশের সূচক ‘একিউআই’ ব্যবহার করে।

এ দিকে রোববার রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অংশে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের সাথে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।

ঝড়ের সময় গাইবান্ধা ও ফরিদপুর জেলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

বছরের প্রথম এই মৌসুমী ঝড় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ রাজধানীতেও আঘাত হানে এবং কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম ১০ এবং পিএম ২.৫), এনও ২, সিও, এসও ২ এবং ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘ দিন ধরে বায়ু দূষণের সাথে জড়িয়ে আছে। সাধারণত বর্ষায় এর বায়ু মানের উন্নতি হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর (ডিওই) এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উত্স হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ কাজের ধুলা।

বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর একটি। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায়, দূষিত বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণের ফলে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের ফলে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সূত্র : ইউএনবি

বিডিসংবাদ/এএইচএস