ভোলার মনপুরায় জেলে ট্রলারসহ ৩ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

ভোলা প্রতিনিধি:  ভোলার মনপুরায় বুধবার(২৮জুন) ভোর রাতে হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনী চরপাতালিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ১টি ট্রলারসহ ৩ জেলেকে অপহরণ করেছে। তারা একই সঙ্গে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন। বিষয়টি আড়ৎদার ও পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করা হয়েছে।

ঈদের পর পরেই জলদস্যুরা আবারও মেঘনায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। জলদস্যুরা জেলেদের অপহরণ করায় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরতে জেলেরা সাহস পাচ্ছেনা। জলদস্যুদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।

খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলেদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনকার ন্যায় খলিল মাঝি ও নেজু মাঝি মনপুরার চরপাতালিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনী দেশীয় অস্ত্র তাক করে জেলেদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। পরে জলদস্যুরা জেলেদের জিম্মি করে খলিল মাঝির ট্রলারসহ খলিল মাঝি ও তার ইঞ্জিনচালক বেলাল মেস্তরী এবং অপর ট্রলার থেকে নেজু মাঝিকে অপহৃত করে নিয়ে যায়। ট্রলারে থাকা অপর সকল জেলেদের চরপাতালিয়া চরে নামিয়ে দিয়ে যায় জলদস্যুরা। মুক্তিপণের বিনিময়ে জেলেদের ছাড়িয়ে আনার জন্য বলেন জলদস্যু বাহিনী।

এবিষয়ে ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্যাহ কাজল বলেন, হাতিয়ার জলদস্যুরা আমার এলাকার ১টি মাছধরা ফিসিংবোটসহ ৩ জেলেকে চরপাতালিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ধরে নিয়ে যায়। এখনও তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মুক্তিপণের বিনিময়ে জেলেদের ছাড়িয়ে আনার জন্য বলেছেন জলদস্যু বাহিনী।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীন খান এ জানান, ঘটনাটি আমার এলাকায় ঘটেনি। এটি হাতিয়ার সীমানায় হয়েছে।

এ ব্যাপারে হাতিয়া জোনের কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিককে তার নামটি বলতে রাজি হননি। তিনি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিবেন বলে জানান।