ভোলায় এখনো সব বিষয়ের পাঠ্যবই পায়নি শিক্ষার্থীরা

ভোলা প্রতিনিধি॥

ভোলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায়  কয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো সব বিষয়ের পাঠ্যবই পায়নি। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারি প্রায় বাকী মাত্র দুদিন সব বই না থাকায় পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।জেলার ৭টি উপজেলার কমপক্ষে ২০/২৫টি মাদ্রাসা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়  ও মাদ্রসায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানে একমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণি ছাড়া সব শ্রেণিতেই বইয়ের সংকট রয়েছে।

ভোলা টাউন কমিউনিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র ও অভিভাবক বলেন, তাঁরা অষ্টম শ্রেণির ১৬টি বিষয়ের মধ্যে গণিত, ইংরেজি, বাংলা, বিজ্ঞানসহ ৬টি বই পাননি। নবম শ্রেণির ১৪টি বিষয়ের মধ্যে বাংলা, জীববিজ্ঞানসহ ৭টি বিষয়ের বইও পাওয়া যায়নি।দৌলতখানের জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও অভিভাবকেরা বলেন, সপ্তম শ্রেণির ২টি, অষ্টম শ্রেণির ৪টি ও নবম শ্রেণির ৭টি বিষয়ের বইও দেওয়া হয়নি।

চরফ্যাশন কারামতিয়া মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল খালেক বলেন, এখানে তৃতীয় থেকে সপ্তম শ্রেণির বইয়ের ঘাটতি রয়েছে।ভোলার পৌর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার বলেন, প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কোনো বইই আসেনি। অন্য শ্রেণিগুলোতেও চাহিদার বাইরে বই আসেনি।কমপক্ষে ৩৪ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা বলেন, সব বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়তে বসছে না।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাণ গোপাল বলেন, ভোলায় অষ্টম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, বিজ্ঞান ও হিন্দু ধর্ম বিষয়ের বই আসেনি। নবম শ্রেণির বাংলা, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত ও বাংলাদেশের ইতিহাস বই দেওয়া বাকি আছে। মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির বইও দেওয়া হয়নি। এর কারণ হলো দুটি প্রকাশনীর বই ভোলায় এখনো আসেনি। তবে অন্য বিষয়ের বইয়ের যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে, তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা। তারা সময়মতো বই না নেওয়ায় এ সংকট হয়ে থাকতে পারে।

তবে শিক্ষার্থীদের ৯২ শতাংশ বই দেওয়া হয়েছে। বাকি বইয়ের চাহিদা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ডে (এনসিটিবি) পাঠানো হয়েছে। বই এলে দেওয়া হবে।

ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইয়াদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণি ছাড়া সব শ্রেণির বই বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছে।

এনসিটিবির ডেপুটি কন্ট্রোলার রাশেদ মোস্তাক বলেন, ভোলায় বইয়ের সংকটের বিষয়টি তিনি জানেন না।