মঙ্গলবার জানানো হবে এইচএসসি ফলের সময়

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় পেছানোর পর চলতি মাসেই উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তারপরও শেষ সময়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বোর্ড। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নীতিমালা না আসায় সংশয় আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় এইচএসসির ফল, বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু, বই উৎসবসহ শিক্ষা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে আগামী মঙ্গলবার গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে অনলাইনে মতবিনিময় করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, চলতি মাসে হাতে আছে মাত্র চার দিন। কিন্তু ফল এখনও প্রস্তুত করতে পারেনি শিক্ষাবোর্ড। মন্ত্রণালয় থেকেও আসেনি কোনো নীতিমালা। তাই, ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ হবে কী-না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকা’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘চলতি মাসে ফল প্রকাশের আপ্রাণ চেষ্টা করছি আমরা। আরো দুই-তিনদিন পর এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে বলে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এবারের ফল প্রকাশ হবে কম্পিউটার ভিত্তিক। তাই বিষয়টা একটু জটিল। অনেক হিসাব নিকাশের ব্যাপার। তারপরও ফল প্রস্তুত করতে টেকনিক্যাল লোকেরা শিফট ওয়াইজ ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকা’র চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘নানা জটিলতায় আসলে এখন পর্যন্ত রেজাল্ট প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। কিভাবে ফল প্রস্তুত হবে সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আসেনি কোনো নীতিমালাও। চেষ্টার পরও যদি এই ফল প্রকাশ এক-দুইদিন পিছিয়ে যায় তাহলে তো বড় কোনো সমস্যা হবে না।’

অন্যদিকে, এ বছর মোট সাড়ে ৩৪ কোটি নতুন বই ছাপানো হয়েছে। যা নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বছরের শুরুতে বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সেটিকে পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২১ হিসেবে পালন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই বিতরণ নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত বই পৌঁছানোর দায়িত্ব এনসিটিবির। বাকি দায়িত্ব মাউশি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের। মাধ্যমিকের ১৩ কোটি ও প্রাথমিকের আট কোটিসহ ২১ কোটি বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছানো হয়েছে। বাকি বই পাঠানোর চেষ্টা চলছে।’