মনোহরদীতে গৃহবধুর আত্মহত্যা : স্বজনদের দাবী পরিকল্পিত হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ   মনোহরদীতে খাদিজা আক্তার (৩০) নামে ৩ সন্তানের জননী এক গৃহবধুর আত্মহত্যার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যা বলে  নিহত খাদিজার স্বজনরা দাবী  করছেন।

৬ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার পশ্চিম চালাকচর গ্রামে  এঘটনা ঘটে। খাদিজা পশ্চিম চালাকচর গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী। পুলিশ এটাকো আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করছেন।

খাদিজার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিবপুর উপজেলার আশ্রাবপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার কন্যা খাদিজার সাথে ১৩ বছর পূর্বে মনোহরদী উপজেলার পশ্চিম চালাকচর গ্রামের মৃত ফালু মিয়া পুত্র ফজলুল হকের সাথে বিয়ে হয়। বর্তমানে থাদিজা ৩ সন্তানের জননী। বিয়ের পর থেকেই বেকার দেবর দিলুর সাথে খাদিজার বনিবনা হয়নি। মাঝে মধ্যের বাক-বিতান্ডা লেগেই থাকতো আাবার কোন কোন সময় দিলু তার ভাবী খাদিজার গায়ে হাতও তুলতো। এতে খাদিজার স্বামী সরল সোজা ফজুলল হক কাউকে কিছুই বলতো না। স্বজনদের সন্দেহ ঘটনার দিন শুক্রবার পরিকল্পিতভাবে দিলু খাদিজার সাথে কোননা কোন বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং পর্যায়ে দিলুর খাদিজাকে হত্যা করে।

খাদিজার বড় ভাই  সাফি উদ্দিন বলেন, ‘আমার বোনের মৃত্যু খবর পেয়ে তার স্বামীর বাড়ীতে ছুটে গেলে দেখি আমার বোনকে মাটিতে শুয়ে রেখেছে। আমার বোন যদি আত্মহত্যা করে তবে তার মুখ দিয়ে তরল পদার্থে কিংবা গলায় ফাঁসে রশির দাগ থাকতো। সেসব কিছুই আমরা দেখিনি বরং তার চোয়ালে থেৎলানো এবং কানের গোড়ায় আঘাতের চিহ্ণ দেখতে পেয়েছি।’

এব্যাপারে খাদিজার বড় ভাই  সাফি উদ্দিন বাদী হয়ে মনোরহরদী থানায় একটি  মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

মনোহরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের সুরতহাল তৈরী করতে গিয়ে যা বুঝলাম তাতে আমার মনে হচ্ছে এটা একটা আত্মহত্যার ঘটনা।

বিডিসংবাদ/এএইচএস