মহেশখালীতে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন : লাশ ভর্তি এ্যাম্বুলেন্স আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা এলাকায় সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে আপন ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খোরশেদ আলম (২৮) নিহত হয়েছেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের জন্য এলাকায় আনার পথে সোমবার রাতে লাশ ভর্তি এ্যাম্বুলেন্স আটক করেছে পুলিশ। ছুরিকাঘাতের পর ৬দিন মুত্যুর সাথে লড়ে সোমবার ২৪ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় মারা যান তিনি।

এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা পূর্বপাড়া এলাকার ডাঃ মোহাম্মদ হোসেনের ফার্মেসীর সামনে সম্পত্তির ভাগাভাগির ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মৃত হাজী কালা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও খোরশেদ আলমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে ছোট ভাই  জাহাঙ্গীর আলম বড় ভাই খোরশেদ আলমকে বেদম মারধর ও পেটে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। বাজাওে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় খোরশেদ আলমকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন ।

কিন্তু ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তার প্রভাবশালী দুলাভাই আমির হোসেন বহদ্দার তড়িঘড়ি করে গুরুতর আহত খোরশেদ আলমকে গোপনে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করে। চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে ৬ দিন মৃত্যুও সাথে লড়ে অবশেষে সোমবার ২৪ এপ্রিল দুপুরে মারা যান খোরশেদ আলম ।

এদিকে, খুনের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রভাবশালী দুলাভাই আমির হোসেন বহদ্দার তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য খোরশেদ আলমের লাশ এ্যাম্বুলেন্স যোগে গোপনে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে

সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহেশখালী থানা পুলিশ চকরিয়া থেকে লাশ ভর্তি এ্যাম্বুলেন্স আটক করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপালে প্রেরণ করেন।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, খোরশেদ আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে খুনিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।