মায়ের কলে বসে আদালতে হাজিরা দিল ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার শিকার শিশু

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ব্যাটারী চালিত চার্জার ভ্যানে মায়ের কলে বসে দিনাজপুরনারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেন ধর্ষণের শিকার শিশুটি ও তার পিতা পিকআপ ভ্যান চালক সুবল চন্দ্র দাস।

দুপুর দেড়টায় মামলাটি আদালতে শুনানীর জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিজ্ঞ বিচারক জালাল উদ্দিন           আহাম্মদের কাছে নথি উপস্থাপন করা হয়।

জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার জমিরের হাট তকেয়া পাড়া এলাকার পিকআপ ভ্যান চালক সুবল চন্দ্র দাসের মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা মামলা দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্বাক্ষী শুরু গ্রহণের জন্য তিন ধার্য্য ছিল। মামলার বাদী শিশুটির পিতা সুবল চন্দ্র দাস আংশিক স্বাক্ষি প্রদান করেন।

দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ইং তারিখ দুপুরে বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় কয়েকজন ছেলে-মেয়ের সঙ্গে খেলা করছিল। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করে আফজাল হোসেন কবিরাজ। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টসহ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতসহ সিগারেটের ছ্যাকা দিয়ে মৃত ভেবে পরে বাড়ির পাশের একটি হলদী ক্ষেতে পুতে রাখে। এদিকে বাড়ির লোকজন অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে রাতেই শিশুটির বাবা সুবল চন্দ্র দাস পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরের দিন সকালে শিশুটিকে বাড়ির পাশের হলদী ক্ষেত থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার হয়।  প্রথমে স্থানীয় ল্যাম্ব হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা পার্বতীপুর থানায় একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।