মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি নয়নঃ স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য দিনাজপুরের কৃতি সন্তান প্রয়াত এম. আব্দুর রহিম-কে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদক-এর জন্য মনোনীত করায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।

১ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা পত্রে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিত দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে  সভাপতি মোঃ আহসানুল হক মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাতলুবুল মামুন স্বাক্ষরিত অভিনন্দন বার্তায় উল্লেখ করা হয় প্রয়াত এম অব্দুর রহিম মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাগণের রিত্র“টমেন্ট, তাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা এবং ভারতের আশ্রয়গণকারী অসহায় বাংলাদেশীদের আবাসন ও খাদ্যের ব্যবস্থা গ্রহণকরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

এম. আব্দুর রহিম একজন সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় তিনি নেতৃত্বের আসনে থেকে দিনাজপুরের মানুষকে যুগিয়েছেন সাহস-অনুপ্রেরণা-উদ্দীপনা। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য তাঁকে বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচার শাসক গোষ্ঠী দ্বারা নির্যাতনের শিকার ও কারাবরণ করতে হয়েছে অনেকবার। আদর্শ ও নীতিবোধকে অটুট-সমুজ্জ্বল রেখে রাজনীতিকে মানুষের সেবা-কল্যাণ আর মঙ্গলের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে তিনি সমাজ সেবায় ছিলেন একনিষ্ঠ।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

১৯৭১ এর ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন হলে গোটা দেশকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১১ টি বেসামরিক জোনে ভাগ করা হয়। মুজিবনগর সরকার এম. আব্দুর রহিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের জোনাল চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এবং তৎকালীন কংগ্রেস নেতা ও ভারতের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে একাধিকবার বৈঠক করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলা হয়, সৎ, নির্ভিক, ত্যাগী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের প্রতি আমৃত্যু নিরবিচ্ছিন্ন আস্থাশীল থাকা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বপুর্ণ অবদান রাখায় জননেতা এম. আব্দুর রহিমকে রাষ্ট্রীয় এই সর্বোচ্চ সম্মান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’- এ আপনার সরকার মনোনীত করায় দিনাজপুরবাসীকে গর্বিত ও সম্মানীত করা হয়েছে। যা একদিকে যেমন নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ করবে ঠিক অপরদিকে শিক্ষক সমাজকে সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনে অনুপ্রাণিত করবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এ্যাড. এম আব্দুর রহিমকে “স্বাধীনতা পদক” মনোনীত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ  হতে অভিনন্দন।

জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ পত্র প্রদানকালে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফজলুর রহমান, লোকমান হাকিম, রতন কুমার, শাহজাহান চৌধুরী, আমীরুল ইসলাম, মাসউদ আলম, এনামুল হক, নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, এ,কে,এম ফজলুল হক প্রমুখ।