রাবিতে মানববন্ধন : রমেল হত্যার বিচার ও সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের দাবী

রাবি প্রতিনিধি: রাঙামাটির নানিয়ারচর সরকারি কলেজের পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তার ‘হত্যাকাণ্ডের’ প্রতিবাদ ও পার্বত্য চট্রগ্রামের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের দাবি মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১২ টার দিকে বিশ^বিদ্যালয় টুকিটাকি চত্বরে জুম্ম শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আমিরুল ইসলাম কনকের সভাপতিত্বে ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী অরুণ বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আদিবাসি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি বিভূতিভুষণ মাহতো, ছাত্র ইউনিয়ন রাবি শাখা সভাপতি এম এম শাকিল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট রাবি শাখা সভাপতি লিটন দাস, রাজশাহী মহানগর পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি দীপেন চাকমা প্রমুখ।

প্রফেসর আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘বর্তমানে পাহাড়ে মানুষদের একরকম অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাদের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে। সেখানে বাঙালীদের পুণর্বাসিত করা হচ্ছে। এর ফলে পাহাড়িরা দিন দিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। চাষের জমি ও তাদের বসবাসের জায়গা কমে যাচ্ছে।’

এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ ও ৩১ ধারায় প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান অধিকার, সমান সম্মান ও নিরাপত্তার অধিকার থাকলেও আমাদের পাহাড়ি বন্ধুদের মৌলিক অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। যদিও একসময় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল। এ কারণেই ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করা হয়। সেই শান্তি চুক্তির কোন ধারা বর্তমানে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। যার ফলে পাহাড়ে শান্তি আসছে না। অর্থ্যাৎ তাদের মৌলিক অধিকাগুলো ক্ষুণœ হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল নানিয়ারচরের ট্রাক পোড়ানো ও বাস লুটের ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নানিয়ারচর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। আটকের পর রমেল চাকমা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৯ এপ্রিল তার মৃত্যু ঘটে।