রাবিতে ১২ শিবির কর্মী আটক

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে বেধড়ক মারধর কারার পরে পুলিশে দিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার দিবাগত রাতে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাদেরকে বিভিন্ন রড, লাঠি দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (রামেকে) ৩৩, ৩৯ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড রুমে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

জানা যায়, হলে শিবির আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২ টার দিকে সন্দেহভাজন হিসেবে  ১৪৮ ও ১৪৩ নম্বর রুমে ছাত্রলীগ তল্লাশী চালালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক   নাজমুল ইসলাম (আরবি মার্স্টাস) ও শিবিরের সাথী শাহরুল আলম হিমেলকে (পরিসংখ্যান ৪র্থ বর্ষ) আটক করে। এসময় ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু উপস্থিত হয়। পরে আটককৃত দুই শিক্ষর্থীর তথ্যের ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি সাহেদ রানা (ইঞ্জিনিয়ারিং তৃতীয় বর্ষ), শহীদ শামসুজ্জোহা হলের শিবিরের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (ইসলামের ইতিহাস তৃতীয় বর্ষ) আশিকুল হাসান নাফিস (নৃবিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষ), আরিফুল ইসলাম (ফার্সী মাস্টার্স), রাকিব আহমেদ (আইন ২য় বর্ষ), মাহমুদুল হাসান (উদ্ভিদ বিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষ), শরিফুল ইসলাম (পরিসংখ্যন ৪র্থ বর্ষ), আব্দুর রাকিব (ইসলামিক ইস্টাডিজ (তৃতীয় বর্ষ), ওয়ালিউল ইসলামকে (আরবি মাস্টার্স) আটক করে।

এদের মোট ১১ জনকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেধড়ক মারধর করার পরে রাত ৪ টার দিকে একই হলের ২৭৬ নম্বর রুম থেকে এক গেস্টকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। এসময় মতিহার থানার পুলিশ উপস্থিত হলে তাদেরকে আটক করে মেডিকেলে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বির্বাতকে বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র ও হলে ছাত্রলীগের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা রাতে ১২ টার দিকে হলে যাই। এসময় প্রাথমিকভাবে দুজকে আটক করি। পরবর্তীতে মোট ১২ জনকে শিবির হিসেবে সনাক্ত করে সমুচিত জবাব দেয়ার পরে পুলিশে সোর্পাদ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পরিপেক্ষিতে যদি শিবির কর্মীরা কোন অপ্রিতীকর ঘটনা করতে চায় তাহলে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এর  জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পরেছি এরা শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের মধ্যে ১১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আর একজনকে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. মো.লুৎফর রহমান বলেন, রাতে হলে শিবির সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ শুনেছি। এ বিষয়ে আমি আরো খোঁজ নিয়ে পরে জানাচ্ছি বলে জানান তিনি।