রাবির দুই ছাত্রলীগ নেতাকে পেটালো স্থানীয় যুবলীগ নেতা

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের ২ শিক্ষার্থীকে মারধর করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন-২ এর ইঞ্জিনিয়ার সেকশনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সুমন-উজ্জামান দিগন্ত। বৃহষ্পতিবার সকাল পৌণে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় বানেশ্বর রুটের বাসে বেলপুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মো রতন আলী ও মানিক ফারসী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। এছাড়াও মানিক আলী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে বেলপুকুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। আর রতন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।

মারধরকারী সুমনুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন-২ এর কর্মচারী ও পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, আত্মসাতের  বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় বাসে তারা বানেশ্বর থেকে উঠে বেলপুকুরে আসলে সেখান থেকে সুমনও উঠে। তারা সুমনকে দেখে সালাম দেয়ার একপর্যায়ে তিনি দুজনকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও চড়-থাপ্পর মারে। বাস যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে তখনও নেমে তাদের আবার মারধর করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূক্তভোগী ঐ দুই শিক্ষার্থী বলেন, আমরা রাজশাহী-৫ আসনের এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দ্বারাকে সমর্থন করি। সুমনকে এমপি পছন্দ করে না। আমরা এমপিকে সমর্থন করি বলে খুব বেড়ে গেছি। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালি সহ আমাদের চলন্ত বাসে মারধর করে এবং কিছুক্ষণ বাস থামিয়ে রেখে অনেকজনকে ফোন দিতে থাকে। বাস কাম্পাসে আসার পরও আমাদের মারতে থাকে।

জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা সুমন বলেন, ওরা আমার এলাকার ছেলে তেমন কিছুই ঘটেনি। আমরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মাধ্যমে মীমাংসা করছি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, স্থানীয় দ্বন্দ্বের কারণে তাদের মধ্যে এটা হতে পারে। তারা সাবেক কমিটির সাথে যুক্ত ছিল। বর্তমান কমিটিতে না থাকায় আমি কিছু বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর মো. শামীম আহমেদ বলেন, বিষটি শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।