রাবির ভর্তিচ্ছুদের থেকে মেসমালিকের অতিরিক্ত অর্থ আদায়: আটক-১

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে এক মেস মালিককে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরের আমজাদের মোড়ে সামিয়া ছাত্রাবাসের মালিক সাজদার আলীকে আটক করা হয়।
ওই মেসের ভর্তিচ্ছু ও পার্শ্ববর্তী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়,‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামিয়া ছাত্রাবাসের মালিক অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে নেয়। এবং অন্যান্য মেস থেকে পুরো মাসের টাকা রেখে দেয়া হচ্ছে। এ দাবিতে সম্মত না হলে তাদেরকে মেস থেকে বাহির করে দিচ্ছে মেস মালিকরা’।

জানা যায়, এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে গত ২১ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনায় মামলা করা হয়। একইভাবে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ আদায় বন্ধে আইনি সহায়তা চেয়ে মতিহার থানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে বিনোদপুর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী মেসে অভিযান চালায় মতিহার থানা পুলিশ। এসময় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে সামিয়া ছাত্রাবাসের মালিক সাজদার আলীকে আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী মেস মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, ‘সাজদার আলী সমিতির আওতাভূক্ত ও গভর্নিং বডির সদস্য। তাকে পুলিশ আটক করেছে বিষয়টি সকালে জানতে পেরেছি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কি কারণে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন তা বুঝতে পারছি না’।

মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান জানান, ‘রাতে মেসে অভিযান চালিয়ে সাজদার আলী নামের সামিয়া ছাত্রাবাসের মালিককে আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে হয়তো মতিহার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এব্যাপারে আমি কিছু জানিনা’।

উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর প্রতিবারের ন্যায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রেক্ষিতে রাজশাহী মেস মালিক সমিতির সাথে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০০ টাকার দাবি করে। বিষয়টি ফেইসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করে। পরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হবে না বলে আশ্বস্থ করে মেস মালিক সমিতি।