রাবির হলগুলোতে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা!

রাবি প্রতিনিধি: গরমের শুরু না হতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। বিশেষ করে সন্ধার পর থেকে মশার উপদ্রব বেড়ে অতিষ্ঠ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে একদিকে যেমন পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মশাবাহিত রোগ।

মশার কারণে সন্ধ্যা হলেই হলগুলোতে মশার উপদ্রবের কারণে হলে চেয়ার টেবিল থাকা সত্ত্বেও সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে পড়ালেখার কাজটাও তাই সারতে হচ্ছে মশারীর নিচেই বসে। এদিকে শিক্ষার্থীরা মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলোর ভেতরে ও বাইরের পানির নালা, নর্দমা, ময়লার স্তুপ, কচুড়িপানা, ডাস্টবিন, যেন এখন মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

মাদার বখ্শ হলের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বিল্পব বলেন, মশার কামড়ে অতিষ্ঠ! একে তো গরম শুরু হয়েছে তার উপর আবার মশার কামড়। পড়ার টেবিলে বসলেই কানের কাছে শুরু হয় ভোঁ-ভোঁ শব্দ। আমি চায় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের শিক্ষার্থী মামুন বলেন, সামনে ২য় বর্ষের সেমিষ্টার ফাইনাল। একটু যে টেবিলে বসে পড়ালেখা করবো তার কোন উপায় নেই। বাধ্য হয়ে সন্ধ্যা নামতেই মশারী টাঙ্গাতে হয়। মশার কামড়ের ভয়ে বাধ্য হয়ে মশারীর নিচে পড়ালেখা করতে হয়। লতিফ হলের অবাসিক শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, পেপার রুমে পেপার পড়তে গিয়েছিলাম কিন্তু অতি কষ্টে পাঁচ মিনিটের বেশী টিকতে পারিনি। মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসতে হয়েছে। তাছাড়া রুমে থাকলেও মশার কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। মাঝেমাঝে এমন অবস্থা হচ্ছে যে মশার কয়েল জ্বালিয়েও কাজ হচ্ছে না।

তাপসি রাবেয়া হলের শিক্ষার্থী সিমন্তিনী সম্পা বলেন, হলের যেখানে বসি সেখানেই এখন মশার দখলে। গতকাল রাতে একটু মুক্ত মঞ্চে বসে ছিলাম উঠে দেখি মশার কামড়ে পা ফুলে গেছে। রাত্রে মশারি টাঙালেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। মশার কামড়ে কপালটা লাল ও গুটিগুটি হয়ে গেছে।

এছাড়া বিভিন্ন আবাসিক হলের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, মশার উপদ্রবের কারণে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। কয়েল জ্বালিয়েও বেশি সময় লেখাপড়া করা সম্ভব হয় না। তাই শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে মশার উপদ্রব হতে রক্ষার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ আমির হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা নিধনের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন দয়িত্ব পালন করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে, হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. গোলাম ছাদিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে জানান।