রামপালে ড্রেজিংয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ হুমকিতে

সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ড্রেজিংয়ের ওপর পরিবেশের মুল্যায়ন (ইআইএ) কে অসম্পূর্ণ ও জনগণের মতামত বর্জিত বলে অভিযোগ করেছেন আর্ন্তজাতিক পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন,রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দীর্ঘমেয়াদি নৌচলাচল ও ড্রেজিংয়ের কারণে জলজপ্রাণী বিশেষ করে ডলফিন প্রজাতির জন্য প্রাণঘাতি ও উপ-প্রাণঘাতি হবে। শব্দ ও রাত্রিকালীন আলো জলজ ও স্থলজ বন্যপ্রাণীদের জীবণধারণ পদ্ধতিকে চূর্ণবিচূর্ণ করবে।

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-র উদ্যোগে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে “রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা পরিবহন ও নদী ড্রেজিং পরিকল্পনার মূল্যায়ন শীর্ষক গবেষনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বাপা’র সহসভাপতি রাশেদা কে চৌধুরী এর সভাপতিত্বে এতে গবেষনা প্রতিবেদনটি সারাংশ তুলে ধরেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। এতে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম।
প্রতিবেদন প্রস্তুতকারীরা হলেন আমেরিকার দ্যা ইউনিভার্সিটি অব মনটানা গবেষক ড. উইলিয়াম লেনডিল ও অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জন ব্রডি।
আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বঙ্গোপসাগর ও পশুর নদীতে ড্রেজিংয়ের ফলে সৃষ্ট পরিবেশের ওপর হুমকিগুলো পর্যাপ্তভাবে মূল্যায়ন করেনি এবং ঐ হুমকিগুলি নিরসন ও হ্রাসে পর্যাপ্ত পরিকল্পনা করেনি।

কয়লা পরিবহনের জন্য গভীর চ্যানেল তৈরী করতে ৩৩মিলিয়ন টন পলি-কাদা বঙ্গোপসাগর ও পশুর নদী হতে ড্রেজিং করা হবে। ড্রেজিং করা ও পলি-কাদার ডিজপোজাল সুন্দরবনের খাড়ি ও বঙ্গোপসাগরের পানি ঘোলা করবে,ফলে আলো প্রবেশ করবে না এবং খাদ্য চক্রের ভিত্তি ফাইটোপ্লাঙ্কটন জন্মাতে বাঁধা সৃষ্টি করবে।

সরকার ড্রেজিং করা পলি-কাঁদা কোথায় ডাম্পিং করবে তা সুনিদিষ্ট করেনি এবং জলজ প্রজাতিসমুহের ওপর হুমকি মূল্যায়ন করা হয়নি।