রেলক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

রাবি প্রতিনিধি:  আছে রেলক্রসিং নেই গ্যাটম্যান। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শুধু যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী  তাই নয় এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষেরও। এমন ঘটনা ঘটার ফলে অকালে ঝরে গেছে ১০ এর অধিক তাজা প্রাণ। প্রতিনিয়ত এমন ঝুকি মাথায় নিয়ে চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা ও  কৃষি অনুষদের প্রায় দুই হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে চারুকলা রেলগেটে গেটম্যান ও ব্যারিকেড না থাকায় রেলক্রসিং ঝুকিঁ নিয়ে পথ চলাচল করতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীদের। যার কারনে হরহামেশা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে  দূর্ঘটনা রোধে  উদ্যোগ  নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

জানা যায়, বিগত ছয় বছরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী তিন ছাত্রীসহ ৫ জনের। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চারটি রেল ক্রসিং রয়েছে। এর একটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ও কৃষি অনুষদের  প্রবেশদ্বার। আর এ ক্রসিং দিয়ে দুটি অনুষদের প্রায় দুই হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় গোরস্থান সংলগ্ন ক্রসিংয়ে গত বছরের ২৮ আগস্ট ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্তনা বসাক। এর আগে ২০১৫ সালের বছরের ১৪ জুলাই চারুকলা গেট এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের মেধাবী ছাত্রী ইসরাত আরেফিনের। এছাড়া ২০১০ সালের ২৪ জানুয়ারি বধ্যভূমি এলাকার ক্রসিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর শামসাদ পারভীন আনুর মৃত্যু হয়। অরক্ষিত এই রেলক্রসিংয়ে কোন ব্যারিকেড কিংবা গেটম্যান না থাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই চলাফেরা করতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

চিত্রকলা,প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুন আরা বলেন, আমরা এখানে সারাক্ষন অনিরাপদ বোধ করি। সবসময় রিস্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হয় আমাদের। এখানে যদি ক্রসিংয়ের দায়িত্বে গার্ডম্যানের ব্যবস্থা করা হয়ে তবে আমরা নিরাপদভাবে যাতায়াত করতে পারবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি ১০-১৫ দিন আগে জানতে পেরেছি। কিন্তু তখন উপাচার্য না থাকায় এ বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা নিতে পারিনি। নতুন প্রশাসন এসেছে আমি বিষয়টি উপাচার্যের নিকট অবহিত করবো।আশা করি অতি দ্রুত এ সম্যসার সমাধান হবে। আর কোন গার্ড ওখানে দেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আমি আলোচনা করে দেখছি।