শিশু আদালতে শিশুবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে নির্দেশ

শিশু আইন-২০১৩ এর প্রয়োগ ও শিশু আদালতে শিশুবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এজলাস, ডক, কাঠগড়াসহ আনুষাঙ্গিক উন্নয়ন কাজে ইউনিসেফ বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা করতে দেশের সব জেলা জজ আদালতসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির নির্দেশে জারি করা হাইকোর্ট বিভাগের রেজিষ্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এ সার্কুলার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, শিশু আইন ২০১৩ এর ১৯ ধারার বিধান মতে শিশু আদালতের আদালত কক্ষের বিন্যাস সাজ-সজ্জা ও আসন ব্যবস্থা শিশুর জন্য উপযোগী হতে হবে। এ লক্ষ্যে ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও সুপ্রিমকোর্টের এক সমঝোতা স্মারক হয় চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সে অনুযায়ি ইউনিসেফ বাংলাদেশ শিশু আদালতে শিশু বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এজলাস,ডক, কাঠগড়াসহ আনুষাঙ্গিক উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে।

সার্কুলারে বলা হয়, শিশু অধিকার নিশ্চিত বিষয়ক সুপ্রিমকোর্টের বিশেষ কমিটির ১৪ তম সভা হয় গত ২৩ মে। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, শিশু আদালতে শিশু বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে সকল জেলা জজ আদালত ও শিশু আদালত সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। সে অনুয়ায়ী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়।

এর আগেও সুপ্রিমকোর্টের জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়, শিশু আইন বলবত থাকার পরেও লালসালু ঘেরা কক্ষে শিশু আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় আইনের লঙ্ঘন। ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী শিশুর বিচারের সময় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ বা আদালতের কোনো কর্মচারী আদালত কক্ষে পেশাগত বা দাফতরিক ইউনিফরম পরিধান করতে পারবেন না।

শিশু আইন, ২০১৩ এর ১৬ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলা এবং মেট্টোপলিটন এলাকার এক বা একাধিক অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতকে শিশু আদালত হিসাবে নির্ধারণ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের শিশু অধিকার সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির গোচরীভূত হয়েছে যে, শিশু আইনের ১৭(৪) ধারা প্রতিপালিত হচ্ছে না।

সার্কুলারে বলা হয়, শিশুর জন্য উপযুক্ত ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। মামলা শুনানির আগে বা পরে যাতে শিশুরা সেখানে অবস্থান করতে পারে। এছাড়া যে সকল শিশু আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা আছে সে সকল আদালতে ভিডিও লিংক ব্যবহার করে ব্যক্তিগত হাজিরা হতে শিশুর কার্যত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এমতাবস্থায় শিশু আইনের বিধানাবলী প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সূত্র : বাসস