শুরুতেই ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলছে। বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিনে কলেজ গিয়ে দেখা যায় ৪৭ জন কর্মচারী কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতে গোনা ৭/৮ জন কে পাওয়া যায়। যদিও কলেজে গত আগষ্ট মাসের ৪ তারিখ থেকে অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাছাড়া আরো জানা গেছে, গত ২৩/০৭/২০১৭ তারিখে জৈনিক ঠিকাদারের কর্মচারীকে ভঁয় ভিতী দেখিয়ে ষ্টোর কিপার আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মুল্যের ২০ প্যাকেট টাইলস বের করে নিজের আস্তানায় লুকিয়ে রাখে। পরদিন ভোরে স্থানান্তরের চেষ্টা করতে গেলে নিরাপত্তা কর্মী থাকায় ব্যর্থ হয়। অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবিষয়টি জানার পরও অজ্ঞাত কারনে তার উপর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটন কে কেন্দ্র করে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে কলেজ ক্যম্পাসের ভিতরে দেখা গেল, নিম্নমানের কাজ বিধায় পিচের রাস্তা পায়ের ঘসায় উঠে গেছে। তবে এলাকার সচেতন মহলের ধারনা এই কর্মচারীদের নিকট থেকে অবৈধ সুবিধা পাওয়ার কারনেই কর্তৃপক্ষ কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয় না। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষকে উপস্থিত না পেয়ে উপ-অধ্যক্ষ ডাঃ অমলেন্দু ঘোষের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে কয়জন উপস্থিত আছে বা নাই সে খবর আমি বলব না। আমার নিকট এ বিষয়ে জানতে চাওয়া কোন সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে না। এইটাই হল অপসাংবাদিকতা। মালামাল চুরির ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে রাজি না হয়ে এক পর্যায়ে বলেন, ঠিকাদারের মালামাল কে নিয়ে যাচ্ছে তা আমরা কি ভাবে জানব? আপনারা আমাদের কলেজ উন্নয়নের ব্যাপারের কোন ভুমিকা রাখেন না অথচ এই ব্যাপারে জানতে চাছেন। ঈদের পরে অনেকেই অফিসে আসবেন না, সেটা স্বাভাবিক। এসব কথাবার্তা বলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।