শৈলকুপায় ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ মিথ্যা,ভিক্তিহীন ও উদ্দেশ্যমুলক : আবু বকরের দাবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ  ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ব্রাহিমপুর গ্রামের নিজ ভিটে থেকে স্বপরিবারে উচ্ছেদ করা হয়েছে দাবি করে গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সুশান্ত কুমার দাস। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আবু বকর ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন গতকাল সুকান্তের অভিযোগ সম্পূর্ন্য মিথ্যা,ভিক্তিহীন ও উদ্দেশ্যমুলক বলে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন আবু বকর ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১৩ নং উমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাবদার হোসেন মোল্লা,নিরান্জন কুমার রুই দাস,নিখিল রুই দাস,আলোমতি রানী,মাহাবুবুল আলম ফকির, সিদ্দিক হোসেন মোল্লা ও মোঃ মোজাহার খানঁ।

লিখিত বক্তব্যে আবু বকর বলেন ,গত ২০১৬ সালের চেয়ারম্যান নির্বাচন কালিন সময়ে আমি শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থী সাবদার হোসেন মোল্লার নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করায় আমাদের প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুল এর বিরুদ্ধে কাজ করা ও ভোট প্রদান করার কারনে তিনি সহ জেলা ছাত্রলীগের একশীর্ষ নেতা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আরেক শীর্ষনেতা মিলে আমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই শ্রী সুকান্ত কুমার দাসের দিয়ে মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিক্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করিয়ে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে দেবার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিখারের চেষ্টা করছে।

আমি গত ০৮/০৩/২০১৫ ইং তারিখে সম্পূর্ন্য বৈধ্যভাবে ননিগোপালের ওয়ারেশগনের নিকট থেকে  ১৩০ নং ব্রাহিমপুর মৌজার সি,এস ৩৮৪ ও এস,এ ৬৭৭ খতিয়ানের দাগ নং ১৯৬ দাগ থেকে সর্বমোট ৪৪শতক জমির মধ্য থেকে  আমরা দুইভাই কবলা দলিল মুলে দলিল নং ১১২৪/১৫, সর্বমোট ১২শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে শান্তিপূন্য ভাবে বাড়িঘর নির্মান করে বসবাস করিয়া আসিতেছি।ইতিপূর্বে ভুমির প্রকৃতমালিকগন আদালতে দেওয়ানী মামলা ৮৫২/৮৪ মোকদ্দমা করে ডিক্রিপ্রাপ্ত এবং বাদী-বিবাদী পক্ষ জেলা জজ আদালতে ১০৪/৯০ আপীল কেচের করে রায় পান।

অতপর হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন ৪৮০২/৯৮ দায়ের করেও তাতেও দেওয়ানী আপীল আদালতের ১০৪/৯০ কেচের রায় বহাল রাখেন।অতপর শৈলকুপা সিনিয়র সহকারি জজ আদালত, ঝিনাইদহ।সন ২০১১ সালের ১০৬/১১ তারিখ ০৫/০৭/২০১১ মামলা ও দেওয়ানী আপীল মোকদ্দমা নম্বর ১৪/২০১৫।রায় প্রকাশের তারিখ ০১/০৮/২০১৬ মামলাটি দোতরফা সূত্রে বাটোয়ারার ডিক্রীর আদেশ হয় আমাদের অনুকুলে। নিম্নকোর্ট,জজকোর্ট ও হাইকোর্টের সকল ডিক্রি, রায় ও আদেশ হয় আমাদের অনুকুলে। সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে বৃদ্ধাংঙ্গুলী দেখিয়ে যারা অবৈধ্য পথে জমি দাবি করছে তারাই সঠিক পথে,না আমরা যারা আইনকে শ্রদ্ধার সাথে মেনে সকল কাগজ পত্র সঠিকসহ জমি ক্রয় করলাম প্রকৃত ভুমি মালিকদের নিকট থেকে তারা সঠিক।

আমি ও আমার ভাই আক্কাছ আলী ১৯৬ দাগে,১২শতক জমি নামপত্তন খতিয়ান নং ১১০৪,কেচ নং ৫৯৮/১১ী-১১)২০১৫-১৭ খারিজ খতিয়ান করে সম্পূর্ন্য বৈধ্যভাবে জমি ভোগদখল করি।উক্ত জমির মূল মালিক ছিল তিনজন।যথাক্রমে-১।ঘেরন রুই দাস একাই আট আনা স্বত্তে ২২শতকের মালিক, বাকি দুইজন ২। নটবর রুই দাস, ও ৩।বনমালি রুই দাস মিলে ২২শতকের মালিক। অতপর ঘেরনের নিকট থেকে কবলা মূলে প্রাপ্তি হন ফনিভুষন রুই দাস,নটবরের নিকট থেকে  কবলা মূলে মালিক ননিগোপাল রুই দাস ও বনমালির নিকট থেকে কবলা মূলে স্বত্তের মালিক হন সন্তোস রুই দাস। আমরা মূল মালিক নটবরের নিকট থেকে ননিগোপাল মালিক হলে তার ওয়ারেশদের নিকট থেকে কবলা মূলে মালিক। সকল আদালতের রায় ও ডিক্রি মোতাবেগও আমরা উক্ত জমির প্রকৃত স্বত্তের দাবিদার।সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই সঠিকভাবে জমি ভোগদখল করিয়া আছিতেছি। সর্ব আদালতের রায় মেনেই জমির উপর পাকা বাড়ি নিমার্ন করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করছি।

আমি কোন ভুমি দস্যু নই, সন্ত্রাসী নই, চাঁদাবাজি নই, জবর দখলকারিও নই। আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া শ্রমিক মাত্র। আমরা বাবলু’র সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ার কারনেই প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা, ভিক্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদেরকে সমাজে হেও প্রতিপন্ন করার লক্ষে সকল  চক্রান্ত মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমরা এই মিথ্যাচার, অনাচারের বিচার দাবি করছি।