সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা করার অনুমতি দিতে পারে না : তথ্যমন্ত্রী

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা করার অনুমতি দিতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘সরকার তো কাউকে গণ্ডগোল সৃষ্টির জন্য, সারাদেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অনুমতি দিতে পারে না। বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যেই সরকার তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ করেছে।’

মন্ত্রী আজ দুপুরে সচিবালয়ে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর (ডিএফপি) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ ইংরেজি গ্রন্থ এবং তথ্য অধিদফতর প্রকাশিত ‘সমৃদ্ধির সোপানে স্বদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া, ডিএফপির পরিচালক মোহাম্মদ আলী সরকার এ সময় বক্তব্য দেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল, সেটি এগিয়ে এনে ৬ তারিখ করা হয়েছে, যাতে বিএনপি সেখানে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তো ভিন্ন। একটি গণ্ডগোল লাগানো।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার স্বার্থে, শান্তি-স্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এই ক্ষেত্রেও তারা যদি চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখান করে নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার জন্য তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে, সেই ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আমরা অনুরোধ জানিয়েছি সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য। দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য তারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে এবং প্রয়োজনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করবে।’

এর আগে বইমোড়ক উন্মোচনকালে ড. হাছান বলেন, সমগ্র পৃথিবীতে খাদ্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। আমাদের দেশেও বেড়েছে কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে কম। আর করোনা মহামারীর মধ্যেই আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে তিন হাজার ডলার ছুঁয়েছে, পদ্মা সেতু হয়েছে এবং মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজও সমাপ্তির পথে। অর্থাৎ যে যাই বলুক, সত্যিকার অর্থেই সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ। এ সমৃদ্ধিকে টেকসই করতে আগামী এক শ’ বা আশি বছর পরে আমরা বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চাই, কী রকম হওয়া উচিত, সেই লক্ষ্যেই দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করেছি।

সূত্র : বাসস

বিডিসংবাদ/এএইচএস