সোনাগাজী উপজেলা প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের ভবন উদ্বোধনের আগেই ফাটল!

ফেনী সংবাদদাতা:  সোনাগাজী উপজেলা প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রটি উদ্বোধনের আগেই বিভিন্নস্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় এলকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজমান। মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের বখতারমুন্সি বাজার সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত সোনাগাজী  উপজেলা প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধাদফতর,  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী জানায়, প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের প্রকৌশল বিভাগের অধীনে সারা দেশে মোট ১৫৬টি প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। ওই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ২৮টি ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ সালে প্রাণি সম্পদ অধিদফতর সোনাগাজীতে  নতুন করে ভবন নির্মাণের জন্য ১কোটি ২০লাখ টাকার বিনিময়ে দরপত্র আহবান করে। যশোরের হরিনাথ দত্ত লেনের নজরুল এন্ড ব্রাদার্স ৫% কমে ( পাঁচ শতাংশ কমে) ৯৬ লাখ ১৭হাজার ৯৬২টাকার বিনিময়ে দরপত্র দাখিল করেন।

সর্বনিন্ম দরদাতা হিসাবে নজরুল এন্ড ব্রাদার্স ভবনটি নির্মাণের কার্যাদেশ পান। দরপত্রের শর্তানুসারে ৬মাস পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ করে এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ বুঝিয়ে দেয়া হয় নাই। স্থানীয়দের দাবি নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যাবহার করে রাতের আঁধারে ছাদ ঢালাই করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাই ভবনটির ছাদ সহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের প্রকৌশল বিভাগের প্রকল্প পরিচালক আরিফুল ইসলাম জানান, ভবনটি নির্মাণে কিছুটা ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে। সেসব ত্রুটি সংস্কার করে দিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সংস্কার কাজ চলছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, ভবনটি সংস্কারে যে সব ত্রুটি রয়েছে পূর্ণাঙ্গভাবে সম্পাদন ছাড়া আমরা কাজ বুঝে নেবনা। ইতোমধ্যে ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে সংস্কার করা হচ্ছে।

মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাদল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার লোকজন তাকে একাধিকবার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিন্মমানের কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বার বার বলেও কোন ফল পাননি। উদ্বোধনের আগেই ভবনটি ফাটল ধরায় তিনি এখনই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন। তাই তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।  এ ব্যাপারে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন করে বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত সুপার ভাইজার মফিজুর রহমান ভবনে ফাটল ও নিন্মমানের কাজের অভিযোগের কথা অস্বীকার করে ঠিকাদারের সাথে কথা বলতে বলেন।