বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ অভিনেত্রী অপি করিম হজ পালনে গত শুক্রবার ঢাকা ছাড়ছেন। তার সাথে সফরসঙ্গী তার বাবা-মা। তাদেরকে নিয়েই তিনি হজ করবেন।
এ বিষযে অপির স্বামী নির্মাতা-স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর সাংবাদিকদের জানান, অপি তার বাবা-মাকে নিয়ে হজে যাচ্ছেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চান।
অপি করিম ১৯৯৯ সালে লাক্স ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় ‘মিস ফটোজেনিক’ খেতাব অর্জন করেন। তিনি নাটকে এবং চলচ্চিত্র দুই অঙ্গনেই অভিনয় করেছেন।
অপি জার্মানি থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে অভিনয় কমিয়ে দেন অপি।
তার অভিনীত নাটকের মধ্যে অন্যতম সকাল-সন্ধ্যা, শুকতারা, আপনজন, সবুজগ্রাম, তিতির সুখ, অক্ষয় কোম্পানির জুতো, ছায়াচোখ, জলছাপ, সাদাআলো সাদাকালো, ছায়াফেরী, যে জীবন ফড়িংয়ের, থতমত এই শহরে, মান-অভিমান, কেমন আছো?, এ শহর মাধবীলতার না, ভূতের ভয়, হঠাৎ প্রিয়তমা, অবাক ভালোবাসা।
অপির উপস্থাপনায় জীবনযাত্রা, সোনালি প্রান্তরে, আমাদের জাদুকর, অপিস গ্লোয়িং চেয়ার অনুষ্ঠানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়াও অসংখ্য বিজ্ঞাপনেও তিনি কাজ করেছেন।
এদিকে মিডিয়ায় অপি এখন কমই সময় দিচ্ছেন। ব্যস্ত আছেন সংসার ও শিক্ষকতা নিয়ে। এরই মধ্যে দু-একটি নাটক ও উপস্থাপনা নিয়ে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন।
২০০৭ সালে জাপানপ্রবাসী ড. আসির আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অপি করিমের। এ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর নাট্যনির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের সঙ্গে সংসার করেন তিনি।
গেল বছর এনামুল করিম নির্ঝর এবং অপি করিম তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করে নতুনভাবে আলোচনায় আসেন। তারা বিয়ে করেন গেল বছরের ৭ জুলাই। এর আগে প্রথমে একজন স্থপতি এবং পরবর্তীতে মডেল ও অভিনেত্রী তানজিকাকে বিয়ে করেছিলেন নির্ঝর।
বাংলা নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ অপি করিম। লাক্স ফটোজেনিক সুন্দরী খ্যাত অপি করিম এর পুরো নাম তুহিন আরা অপি করিম। ধারাবাহিক ও খন্ড নাটকের পাশাপাশি “ব্যাচেলর” ছবিতে অভিনের মাধ্যমে অপি করিম ব্যাপক দর্শক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও অপি করিম মডেল হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৯ সালের ১লা মে জন্মগ্রহণ করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর শিক্ষকতাও করেন।
গুণী এই অভিনেত্রীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে ঘুরে বেড়ানো। বাইরের খাবারগুলোর মধ্যে তার প্রিয় খাবার হলো চটপটি। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নাচও করেন।
অপি করিম সর্বপ্রথম শিশু শিল্পী হিসেবে বিখ্যাত ধারাবাহিক “সকাল সন্ধ্যায়” অভিনয় করেন। এই ধারাবাহিকে তার চরিত্রের নাম ছিল পারুল। এরপর তিনি অনেকদিন অভিনয়ের বাইরে ছিলেন।
এরপর তিনি “আনন্দধারা” ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে মডেল হিসেবে ফিরে আসেন। এই আনন্দধারা ম্যাগাজিনের মাধ্যমেই ১৯৯৯ সালে অপি করিম মিস ফটোজেনিক পুরষ্কারে ভূষিত হন।