২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স-আপিল শুনানি শুরু

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এ শুনানি শুরু হয়। মামলাটি আজ বেঞ্চের কার্যতালিকার এক নম্বরে ছিল।

অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি আজকে থেকে শুনানি আরম্ভ হলো। আজকে এফআইআর পড়ার পরে অভিযোগপত্রের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে। কাল বা পরশু দিনের ভেতরে অভিযোগপত্র পড়া শেষ হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাইকোর্টে মামলাটি নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ কী প্রত্যাশা করে? এ প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা আশা করবো বিচারিক আদালতের রায় যেন বহাল থাকে।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রাষ্ট্রীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মামলা। নজিরবিহীন এই হামলার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্থবির ও ধ্বংসের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। সে কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগ নেই।

তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করার জন্য বিচারিক আদালত থেকে যে রেফারেন্সগুলো হাইকোর্টে আসে তা শুনানির জন্য প্রস্তুত হলে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ ঠিক করে দেন। সে অনুযায়ী শুনানি হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালতে আসামিদের যে সাজা হয়েছে তা বহাল রাখতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আইনগত দিক তুলে ধরবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাসহ ২৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমান। আহত হন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ কয়েক শ’ নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ।

বিচারিক আদালতের রায়ে, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন উগ্রবাদী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) সদস্য। এছাড়া রায়ে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

সূত্র : বাসস

বিডিসংবাদ/এএইচএস