৩ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

র‌্যাব-৭ এর একটি দল গত সোমবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৩ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সীমান্তের তুমব্রু গহীন অরণ্যের পুরান পাড়া নামক পাহাড়ী এলাকায় পৃথক দু’টি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে লুণ্ঠন করাসহ ১০টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থল সীমান্তের গহীন অরণ্যে তুমব্রু পুরান পাড়া এলাকায় সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ ও আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, ২০১৬ সালের ১২ মে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সশস্ত্র আনসার ব্যারেকে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর হামলায় আনসারের পিসি আবুল হোছন নিহত হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা আনসারের ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গোলাবারুদ লুটপাট করে নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ১টি এসএমজি, ৪টি চাইনিজ রাইফেলসহ ৫টি অস্ত্র ও ১৮৯ রাউন্ড গোলাবারুদ লুণ্ঠিত অস্ত্র। এছাড়াও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সুটারগান ৩টি, এলজি ১টি, সিক্স এমএম পিস্তল ১টি ও ২৬ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এঘটনার অন্যতম মূলহোতা কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের নিবন্ধিত শরণার্থী মৃত ডাকাত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে খাইরুল আমিন (৩৫), একই ক্যাম্পের ডাক্তার নজির আহমদের ছেলে মাস্টার আবুল কালাম আজাদ (৩০) ও নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা মোহাম্মদ হাসানকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আনসার ব্যারেকে হামলা ও লুণ্ঠিত অন্যান্য অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জন্য আরো ২দিন এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক বলেন, লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে যখন সবাই নিস্তেজ হয়ে পড়ে তখনো কিন্তু র‌্যাব হাল ছেড়েনি। অবশেষে দীর্ঘদিনের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার ও সস্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে সফলতার জন্য তিনি র‌্যাবের ডিজিকে ধন্যবাদ জানান।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদগুলোর মধ্যে ৫টি অস্ত্র, ১৮৯টি গোলাবারুদ প্রাথমিক ভাবে আনসারের লুণ্ঠিত অস্ত্র বলে প্রমাণিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব ও আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।