৪০০ মিলিয়ন ডলারের এক্সপ্রেসওয়ের পরামর্শ দিতে এডিবিকে বাংলাদেশের ম্যান্ডেট

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

দেশের অন্যতম ব্যস্ত অর্থনৈতিক করিডোর বরাবর নির্মাণ হতে যাওয়া জয়দেবপুর ময়মনসিংহ রোড (এন৩) পিপিপি প্রকল্পের লেনদেন পরামর্শ প্রদানের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র অফিস অফ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (ওপিপিপি)কে ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটি স্থানীয় কর্মসংস্থান ও দক্ষতা সৃষ্টির পাশাপাশি সড়কে যানজট কমাবে এবং সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে।
ওপিপিপি’র প্রধান এফ. ক্লিও কাওয়াওয়াকি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি সড়ক খাতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ও পিপিপি’র সফল ট্র্যাক রেকর্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।’ তিনি বলেন, এই এক্সপ্রেসওয়েটি কীভাবে বেসরকারী খাতের উদ্ভাবন, দক্ষতা ও মূলধনকে জলবায়ু সহনশীল অভিযোজনযোগ্য অবকাঠামো তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তাও প্রদর্শন করবে। ওপিপিপি পরামর্শ প্রদানের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যা এক্সপ্রেসওয়েকে ডিকার্বনাইজ করার এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং এবং উদ্ভাবনী জলবায়ুু প্রশমন ও অভিযোজনের মতো ভবিষ্যতে পদক্ষেপের পরিকল্পনা করে।
প্রকল্পের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি, নতুন সুযোগ-সুবিধার একটি শক্তিশালী পাইপলাইন চিহ্নিত করতে এবং বাংলাদেশে আরও দুটি সড়ক পিপিপি প্রকল্প তদারকির সক্ষমতা বৃদ্ধি ওপিপিপি’র ম্যান্ডেটের আওতাভুক্ত হবে। প্রকল্প দুটি হলো- ঢাকা বাইপাস রোড পিপিপি প্রকল্প, যা এপ্রিল ২০২১-এ আর্থিক সমাপ্তি অর্জন করেছে এবং রামপুরা আমুলিয়া ডেমরা পিপিপি প্রকল্প, যা ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক সমাপ্তিতে পৌঁছেছে।
এই দুটি প্রকল্পে প্রাইভেট সেক্টরের ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূলধন সংগ্রহ হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি বিদ্যমান জাতীয় মহাসড়ক-৩, ঢাকার উপকণ্ঠে জয়দেবপুর শহরকে ময়মনসিংহের উত্তর জেলার সাথে সংযোগকারী ৮৭ কিলোমিটার সড়ককে প্রত্যেক পাশে স্থানীয় যানবাহনের জন্য সার্ভিস লেনসহ একটি চার লেনের অ্যাক্সেস-নিয়ন্ত্রিত এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তরিত করবে। আনুমানিক প্রাথমিক মূলধন ব্যয় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার অংশ হিসাবে প্রকল্পের ব্যয়, নির্মাণ এবং ছাড়ের সময়কাল মূল্যায়ন করা হবে। বিদ্যমান মহাসড়ক ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে নির্মাণের কারণে ব্যাঘাত ন্যূনতম করা হবে। কেননা এর সাথে সংযুক্ত ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে, ভারী যানবাহনের ট্র্যাফিক তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এডিবি’র পরামর্শ আঞ্চলিক বৈষম্যের ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার পাশাপাশি সংযোগ এবং লজিস্টিকসে প্রকল্পটি সর্বাধিক সুফল নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এটি যানজট কমাতে, ট্র্যাফিক প্রবাহ ও নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ এবং গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাস করে এমন জলবায়ু সহনশীল ও ভবিষ্যৎ-সুরক্ষিত অবকাঠামো সরবরাহ করতে বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন এবং দক্ষতাগুলিও অন্বেষণ করবে৷
প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য এডিবি’র কান্ট্রট্র পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি, ২০২১-২০২৫-এর সাথে সমন্বিত, যা লক্ষ্যযুক্ত পিপিপি-সম্পর্কিত সহায়তার জন্য সড়ক পরিবহন, নগর ও জল এবং স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেয়।
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুুতিবদ্ধ।

বিডিসংবাদ/এএইচএস