৮১ দিন পর ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের কম, নিম্নমুখী মৃত্যুও

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়ার পর থেকেই নতুন করে বেড়েছিল উদ্বেগ। চলতি বছর মার্চ থেকে হু হু করে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। ভোলবদলে আরো প্রাণঘাতী হয়ে ওঠা ভাইরাসের জেরে বৃদ্ধি পায় মৃত্যুর হারও। তবে লকডাউন ও কড়া বিধিনিষেধের জেরে ধীরে ধীরে মিলছে সুফল। এক সময় দেশে যেখানে দৈনিক আক্রান্ত ৪ লাখের গণ্ডি পেরিয়েছিল, সেখানে এখন তা ৬০ হাজারেরও কম। স্বস্তি দিচ্ছে নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসও।

রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৫৮ হাজার ৪১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ৮১ দিন পর ৬০ হাজারের নিচে নামল সংখ্যাটা। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকে আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। এর মধ্যে অবশ্য শিগগিরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তা যাতে মারাত্মক আকার ধারণ না করে, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র এবং সমস্ত রাজ্য।

ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৫। এক দিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৭৬ জন। দেশে এখনো পর্যন্ত করোনার বলি ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭১৩ জন।

তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দী হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে হলো ৭ লাখ ২৯ হাজার ২৪৩ জন। সেই সাথে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৬১৯ জন। এখনো পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।

টিকাকরণে গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানো প্রয়াস জারি। এমনকী শিশুদেরও যাতে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়, তার জন্য চলছে ট্রায়াল। এখনো পর্যন্ত ভারতে টিকা পেয়েছেন ২৭ কোটি ৬৬ লাখেরও বেশি মানুষ। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১8 লাখ ১১ হাজার ৪৪৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

বিডিসংবাদ/এএইচএস