‘কী দিয়েছেন দেশকে? কী করেছেন উনি?’

মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে গুরুতর ভুল বলে মনে করেন তিনি। এতে দেশের অর্থনীতির তো বটেই, বিশেষত গরীব মানুষের ক্ষতি হবে বেশি- মনে করেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সেই অমর্ত্য সেনকে এ বার কুরুচিকর ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমাদের একজন নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। বাঙালি।… তিনি কী করেছেন? বাংলার কেউ বোঝে না। দুনিয়ার কেউ বোঝে না। উনি নিজেও বোঝেন কিনা সন্দেহ আছে। কী দিয়েছেন দেশকে? কী করেছেন উনি?” এখানেই থামেননি দিলীপ। রুচির সীমা আরও খানিক অতিক্রম করে বলেন, “এই ধরনের লোকেদের নিয়েই আমরা আজ গর্ববোধ করি (যাঁদের) মেরুদণ্ড নেই, চরিত্র নেই।” তাঁর মতে, এঁদের (অর্থাত্ অমর্ত্য সেনদের) “কেনা যায়, বিক্রি করা যায়! চমকানো যায়! পায়ে পড়ে যায়।”

শনিবার, মৌলালি যুব কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বেরিয়ে আসে বিজেপি রাজ্য সভাপতির মুখ থেকে। টেনে আনেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অমর্ত্য

সেনের সরে যাওয়ার প্রসঙ্গও। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দেন অমর্ত্য সেন। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি থেকেও সরিয়ে দেওয়া তাঁকে। এই প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওনাকে নালন্দার ভাইস চ্যান্সেলর থেকে হঠানো হয়েছে। খুব কষ্ট হচ্ছে!”

অমর্ত্য সেনের উপর এই লাগামছাড়া আক্রমণে নিন্দার ঝড় উঠেছে নানা স্তরে। তবে যাঁর বিরুদ্ধে এ হেন বিষোদ্গার, সেই অমর্ত্য সেন প্রত্যাশিত ভাবেই দিলীপ ঘোষের জবাব দিলীপ ঘোষের ভাষায় দেননি। উল্টে তিনি বলেছেন, “উনি যা ঠিক মনে করেছেন তা বলেছেন। ওনার বলার অধিকার আছে। আপত্তির কোনও কারণ নেই। সব কিছু নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। যদি এ সব ওনার আলোচ্য বিষয় বলে মনে হয়, তবে অবশ্যই আলোচনা করা উচিত।”