নাসরিনের অনাপত্তি, মুক্তিতে বাধা নেই সানীর

নাসরিন সুলতানার অনাপত্তিতে জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানী তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলাও জামিন পেয়েছেন।

বুধবার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম শুনানি শেষে এই জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা নারী নির্যাতন আইনের মামলায়ও একই কারণে সানির ১০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।

তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় বুধবার আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্লাহ হিরু জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে বাদীপক্ষের সঙ্গে আরাফাত সানীর পরিবারের সমঝোতার কথাবার্তা চলছে। সানি কারাগারে থাকলে চূড়ান্ত সমঝোতা সম্ভব নয়। তাই তার জামিন মঞ্জুর হওয়া প্রয়োজন।

এরপর বিচারক আদালতে উপস্থিত বাদী নাসরিন সুলতানার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারও আরাফাত সানির জামিনে অপত্তি নেই। শুনানি শেষে জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহমদ এবং মুরাদুজ্জামান মুরাদ জানান, দুইটি মামলায় জামিন হওয়ায় সানির মুক্তিতে আর বাধা নেই।

এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, আরাফাত সানি কারাগার থেকে মুক্তি পেলে নাসরিনের সঙ্গে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ হবে মর্মে সমঝোতা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা নামে এক নারী নিজেকে সানীর স্ত্রী দাবি করে প্রথমে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গত ২২ জানুয়ারি সানীকে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকেই সে কারাগারে আছেন। এরপর যৌতুক আইনে একটি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আরেকটি মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানী দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নাসরিন সুলতানাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেয়নি। এরপর ২০১৬ সালের ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়।