মূর্তি উদ্ধারে গিয়ে জেলা সিআইডির এসআইসহ আটক ৩

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নে মান্ডইল গ্রামে প্রশাসনকে না জানিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থে মূর্তি উদ্ধার করতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ (সিআইডি টিএইচবি) শাখার রাজশাহী জোনের এসআইসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত আটটায় মান্ডইল আস্তা পুকুর গ্রামের জুয়েল হাসদার বাড়িতে সিআইডি এমএস মাহাবুব আলী ও তার সঙ্গীয়রা একটি মাইক্রো ও মোটরসাইকেলে করে জুয়েল হাঁসদার বাড়িতে সিআইডি পুলিশের পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে মূর্তি আছে বলে ভিতরে প্রবেশ করে। জুয়েল হাঁসদা এ সময় বাড়িতে না থাকায় সিআইডি এমএস মাহাবুব আলীর হুকুমে জুয়েল হাঁসদার মামা শশুর সরকার কিস্কু ও তার ছোট ছেলে রুবেল হাঁসদাকে বেঁধে রেখে বাড়িতে কোদাল দিয়ে ঘরের ভিতর খোঁড়াখুড়ি করে।  আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাদের আসল পরিচয় জানতে চায়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাক দেয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে টুলুকেও জানায়। পরে গ্রামবাসী কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়িকে জানিয়ে তাদের ঘিরে রাখে। এ সময় গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে তাদের মারধর করে এবং তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও মোটর সাইকেলটি ভাঙচুর করে। ঘটনায় এলাকায় এক রকম থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আটকরা হলেন, সিআইডি টিএইচবি শাখার রাজশাহী জোনের এসআই এমএস মাহাবুব আলী (৩২),  তার সঙ্গে থাকা ভুয়া সিআইডিরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ মহল্লার শহিদুল ইসলাম (৪৮), বালিয়াপুকুর এলাকার আমিরুল (৫৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের  আতিকুর রহমান (২৮)।

কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক দেওয়ান মো. এনামুল হক ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিআইডি এমএস মাহাবুব আলী ও ভুয়া পরিচয়ের অপর তিন সিআইডিকে আটক করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় হস্তান্তর করে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।