বাংলাদেশ-সৌদি শিল্প স্থাপনে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও ক্যাবল উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর উপস্থিতিতে আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (বিএসইসি) এবং সৌদি আরবের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আল ফানার এনার্জির মধ্যে এ সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
বিএসইসি’র পক্ষে সংস্থার সচিব মাসুদ আহমেদ এবং আল ফানার এনার্জির পক্ষে সংস্থার বিদ্যুৎ বিষয়ক গবেষণা ব্যবস্থাপক আকবর এম. আলম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
শিল্পমন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, আল ফানার এনার্জি এবং বিএসইসির যৌথ উদ্যোগে একটি অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও ক্যাবল উৎপাদন শিল্প স্থাপন করা হবে।
এ প্রকল্পে আল ফানার এনার্জি শতভাগ অর্থায়ন ও প্রযুক্তি বিনিয়োগ করবে।এই কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিএসইসির চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্, আল ফানার এনার্জির আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বাসাম নাঈজ,আন্তর্জাতিক বিক্রয় বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মুরহাফ আলহাইয়ানিসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং আল ফানার এনার্জির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ১ থেকে ৩ মার্চ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সৌদি আরব সফরকালে সে দেশের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ড. তাওফিগ ফাওজান আল-রাবিয়াহ্ এবং সৌদি বিনিয়োগকারীদের সাথে দীর্ঘ বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সার, বিদ্যুৎ, কেমিক্যাল, চিনি, সিমেন্ট, কাগজসহ উদীয়মান শিল্পখাতগুলোতে বিনিয়োগের জন্য সৌদি উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ থেকে ৬ জুন সৌদি আরব সফরকালে জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক সভায় সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান। এ প্রেক্ষিতে আল ফানার এনার্জির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়া হয়।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক উন্নয়ন অংশীদার। সৌদি প্রতিষ্ঠান আল ফানার এনার্জির সাথে বিএসইসির চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সৌদি-বাংলাদেশ বিনিয়োগের নতুন ধারা সূচনা হলো। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরো সৌদি বিনিয়োগ আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।