কুয়েতে এক বাংলাদেশির ফাঁসি কার্যকর

কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে এক বাংলাদেশিসহ সাত জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশনের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দণ্ড কার্যকর হওয়াদের মধ্যে দেশটির রাজপরিবারের এক যুবরাজকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত অপর যুবরাজ শেইখ ফয়সাল আল আব্দুল্লাহ আল সাবাহ রয়েছেন। এছাড়া অন্যরা হলেন, কুয়েতের নাগরিক নাসরা আল ইনেজি, দুই মিসরীয়, এক বাংলাদেশি, এক ফিলিপিনো ও এক ইথিওপিয়ান নাগরিক।

এদের সবার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে কুয়েত নিউজ অ্যাজেন্সি (কুনা) জানিয়েছে। এর আগে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়াদের সঙ্গে স্বজন ও নিজ নিজ দেশের কূটনৈতিকরা মঙ্গলবার সর্বশেষ সাক্ষাৎ করেন।

২০১১ সালে দেশটির ক্রিমিনাল কোর্ট প্রিন্স শেইখ ফয়সালকে ভাগ্নে শেইখ সালেম সাবাহ আল সালেম আল সাবাহকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। শেখ ফয়সাল দেশটির সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে ক্যাপ্টেন পদে কর্মরত ছিলেন। নিহত প্রিন্সের চেয়ে ২০ বছরের বড় তিনি।

কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ২০১০ সালের জুনে একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন এ দুই প্রিন্স। পরে একান্তে আলাপচারিতার জন্য অন্য একটি কক্ষে প্রিন্স ফয়সাল ডেকে নেন শেইখ সালেমকে। কিছুক্ষণ পরেই ওই কক্ষে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়।

সেসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কক্ষে হাত ধোঁয়ার পর পরই সালেমকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ফয়সাল। সেনাবাহিনীর পিস্তল থেকেই তাকে গুলি চালিয়েছিলেন এই কুয়েতি প্রিন্স। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই সেখানে বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি পৌঁছান।

পরে মেডিকেল কর্মকর্তারা জানান, একেবারে কাছে থেকে সালেমকে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। তার শরীরে ৫ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি বিদ্ধ হয়।

দণ্ড কার্যকর হওয়া বাংলাদেশি হলেন, মোহাম্মদ শাহা মোহাম্মদ। এই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুয়েতের একটি আদালত ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।