মেধাবীদের দিয়ে পূরণ হবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পদ

বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্যপদগুলো মেধাতালিকায় অবস্থানকারী সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে, এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে। তবে ৩৫তম বিসিএসের কিছু কিছু পদের ক্ষেত্রে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১০ সাল থেকে বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট পদ সংরক্ষণের (শূন্য রাখার) নিয়ম চালু রয়েছে।

কোটা সংরক্ষণের নিয়ম নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিথিলের সুপারিশ করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি পাবলিক সার্ভিস কমিশন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল বা সংস্কারের সুপারিশ করেনি। কোটা শিথিলের সুপারিশ করেছে মাত্র। যেসব বিসিএস পরীক্ষায় কোটা পূরণ হয় না, সেসব পদ শূন্য থাকে। জনবল না থাকায় দেশের মানুষ সরকারের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এসব শূন্যপদ পূরণের জন্য বিশেষ বিসিএস আয়োজন করতে অনেক সময় লেগে যায়। এ কারণে কমিশন কোটা সংরক্ষণের নিয়ম নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিথিলের সুপারিশ করে।