বিডিসংবাদ ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ ৮ আগস্ট রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
এ সময় দলের নেতা-নেত্রীবৃন্দ মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, “বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই শোষণহীন সমাজের স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। ১৯৭৫’র কালরাতে স্বপ্নের সমাধি করে এই জাতিকে চিরতরে অভিভাবকশূন্য করে একদল নরপিশাচ, ক্ষমতালোভী, ঠাণ্ডামাথার খুনিচক্র। এরপরের দুই দশকে বাঙালির ইতিহাস শুধুই পিছিয়ে যাওয়ার, হতাশার আর বঞ্চনার।
তারা আরো বলেন বলেন, “গুটিকয়েক কুলাঙ্গারের জন্য কোটি বাঙালিকে বিশ্বময় দুই দশক পিতৃ হন্তারকের কালিমা ললাটে নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরও সাত আসামি এখনও বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন।”
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে মানববন্ধন সঞ্চালন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
মানববন্ধন শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর দাবি আদায়ে একটি স্মারকলিপি দেয় ছাত্রলীগ।
স্মারকলিপিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলা হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফাঁসির রায়ের সাত বছর পরও অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারায় সমগ্র জাতির মতোই ছাত্রলীগ হতাশ। তাই আমাদের বিশ্বাস জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের স্বঘোষিত খুনিদের দেশে এনে ফাঁসির মঞ্চে তুলে খুনের রাজনীতি বন্ধে পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে আপনার মন্ত্রণালয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক সাত আসামির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে অবস্থানকালে মারা যান। অপর ছয়জনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ পাকিস্তানে, লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ও লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম কানাডায়, রিসালদার মোসলেউদ্দিন থাইল্যান্ডে, লে. কর্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরী আফ্রিকায় এবং ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ কেনিয়ায় অবস্থান করছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারন সম্পাদক এইচ এম জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি কাজী এনায়েত, নুরুল করিম জুয়েল, দিদার নিজামুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ উদ্দীন সুজন, প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহাজাদা, পাঠাগার সম্পাদক ইলিয়াস সানী।
আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারন সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স,
ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মদ, ঢাকা দক্ষিন ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, নীলফামারী, ঝালকাঠি, ফেনী সহ দেশের উল্যেখযোগ্য সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসুচি পালিত হয়েছে।