কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে শত শিশু হাসপাতালে

ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া এবং পাবনা জেলায় কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে কয়েক’শ ছাত্র-ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার পর সরকারী চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত: আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই এই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

কৃমিনাশক সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার সারাদেশে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো শুরু হয়।

কিন্তু ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া এবং পাবনায় অনেক শিক্ষার্থী কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ার পর তাদের অভিভাবকেরা চিকিৎসার জন্য তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। যদিও তাদের কেউ গুরুতর অসুস্থ ছিলেন না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া এবং কাউন্সেলিং করার পর তাদের প্রায় সবাইকে গতকালই ছেড়ে দেয়া হয় এবং বর্তমানে কেউ চিকিৎসাধীন নেই বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ১৮৬ জন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে এসেছিলেন বলে তিনি জানান।

কুষ্টিয়ায়ও প্রায় আড়াইশ’ শিক্ষার্থী হাসপাতালে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, অভিভাবকদের বোঝানোর পর এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তারা বাড়ি ফিরে গেছেন।

ডা. ইসলাম বলেন, কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ঝিনাইদহে একটি শিশু মারা গেছে এমন গুজব ছড়ানোর পর অভিভাবকরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শিশুদের নিয়ে আসেন।

পুরোপুরি গুজবের ওপর ভিত্তি করেই অভিভাকদের মধ্যে এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন।

স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, শনিবার অনেকে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লেও এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েননি। সদর হাসপাতালের বাইরেও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও অনেক আতঙ্কগ্রস্ত অভিভাবকেরা উপস্থিত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশে এর আগে সরকারীভাবে বিনামূল্যে প্রাথমিক পর্যায়ে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হলেও এই প্রথম মাধ্যমিক পর্যায়েও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সুলতানা বলছেন, গতকালই তারা অধিকাংশ স্কুলে কৃমিনাশক স্কুলে ওষুধ দিয়েছেন। বাকীদের কাল থেকে দেয়া হবে।

গতকালের ঘটনার কারণে পরিস্থিতি শান্ত হবার জন্য আজ তারা ওষুধ দেয়া স্থগিত রেখেছেন।

এদিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. ইসলাম বলেন, তারা কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে সতর্কতাস্বরুপ কোন অভিভাবক আপত্তি করলে তাদের শিশুদের ওষুধ খাওয়ানোর বিষয়ে জোর দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছেন না।