ইডেন কলেজেছাত্রী হত্যা মামলা, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে চাঞ্চল্যকর ঢাকা ইডেন কলেজের ছাত্রী ও নববধূ শরীফা আক্তার পুতুল (২১) হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শিকদার মাহমুদুল আলমকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে (র‌্যাব) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান।

মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট সার্কিট হাউজে র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, শিকদার মাহমুদুল আলম রায় ঘোষণার পর থেকে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে সাতক্ষীরা বাস স্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে মোল্লাহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আত্মীয়তার সূত্র ধরে ২০১৩ সালের ১৩ মে ইডেন কলেজের ছাত্রী শরীফা আক্তার পুতুলের সঙ্গে মাহমুদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা গোপনে বিয়ে করেন। এরপর ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবার সম্পর্ক মেনে নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেন। বিয়ের তিনদিন পর ১৩ মে রাত দুইটার দিকে তার নববিবাহিতা স্ত্রী শরীফার মোবাইলে অশ্লীল ক্ষুদেবার্তা দেখে ক্ষুব্ধ হন মাহমুদুল। পরে পুতুলের অন্য কারো সঙ্গে পরকীয়া প্রেম রয়েছে এই অজুহাতে ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফাকে ঘরে থাকা দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন মাহমুদুল। হত্যার পর রাতেই মাহমুদুল কীটনাশক পান করে মোল্লাহাট থানায় গিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে তালাবদ্ধ ঘরের ভেতর থেকে শরীফার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি জব্দ করে। এ ঘটনার পরদিন ১৪ মে নিহতের বাবা মো. আবু দাউদ বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় জামাতা মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনম খায়রুল আনাম তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ নভেম্বর মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ১৪ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৬ সালের ১২ মে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন।