এরশাদের তিন মামলার আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার

দুর্নীতির মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ ও সরকারের পৃথক তিনটি আপিলের ওপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করে দেয়।

এর আগে সোমবার এ সংক্রান্ত মামলার নথি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

প্রসঙ্গত, তিন বছরের সাজার রায় বাতিল চেয়ে করা এরশাদের আপিলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য গত বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু ওইদিন রায় ঘোষণা না করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস এক আদেশে বলেন, মামলার নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালেই সাজা বৃদ্ধির জন্য সরকার দুটি আপিল করেছিলো। এছাড়া সাজা বাতিল চেয়ে আরেকটি আপিল করেন এরশাদ। একটি রায় থেকে তিনটি আপিলের উদ্ভব হয়েছে। এগুলোর একসঙ্গে শুনানি হওয়া উচিত। এ অবস্থায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আদেশ দানের জন্য তিনটি আপিলসহ মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হলো। এরপরপর ওই নথি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হয়। প্রধান বিচারপতি ওই তিনটি আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

রাষ্ট্রপতি থাকাকালে পাওয়া বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়া ও জ্ঞাত আয় বহিভর্‚ত সম্পদ থাকার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করে। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৫ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিলো। এই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত এরশাদকে তিন বছরের সাজা দেয়। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন এরশাদ।

পাশাপাশি নিম্নআদালতের দেয়া সাজা পর্যাপ্ত নয় মর্মে হাইকোর্টে ওই বছরই আরো দুটি আপিল করে সরকার। তিনটি আপিলটি দুই যুগ ধরে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। গতবছর দুদক এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানায়। এরপরই এরশাদের আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ৯ মার্চ হাইকোর্ট শুনানি শেষে ২৩ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করে দেন। কিস্তু রায় হয়নি।