দুর্নীতির মামলায় এরশাদের আপিলের রায় ২৩ মার্চ

বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাজার বিরুদ্ধে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৩ মার্চ রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে এরশাদের পক্ষে  শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে  ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।

এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর দীর্ঘ ২৪ বছর পর দুনীর্তি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিল শুনানি শুরু হয়।

দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের  শুনানি শুরু করতে উদ্যোগ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।

এর আগে ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচএম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।

১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎলীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন। আদালত আপিল গ্রহণ করে।