‘রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত না হলে গণ আন্দোলন’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছন, নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক না হলে দেশের জনগণ মানবে না। তারা আবারো আন্দোলনে যাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এদিকে জিয়ার মাজারে পৌনে বারোটার দিকে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নেবে তা প্রত্যাশিত না হলে জনগণ মানবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে নামবে দেশের জনগণ।
রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে সংলাপ-আলোচনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আহ্বানকে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ-আলোচনা ছাড়া গণতন্ত্র কখনোই ফলপ্রসু হবে না। আমরা অনেক আগেই সংলাপ-আলোচনার কথা বলে আসছি। রাষ্ট্রপতি আমাদের কথাই বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করি। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনার কথা খালেদা জিয়াই প্রথম প্রস্তাব করেছেন। রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলেছেন। এখন আমরা আশা করছি রাষ্ট্রপতি নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি এবং সকলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭৫ সালের পর একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু আবারো ভিন্ন পন্থায় নতুনভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, সভা-সমাবেশ করার অধিকার হরণ করে বাকশাল কায়েম করতে চায়।
এসময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আবারো নতুনভাবে জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্রকে পুন:প্রতিষ্ঠা করে দেশের জনগণের রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো।
এদিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার হাজারো নেতাকর্মী জড়ো হতে থাকেন। তারা জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।