যুক্তরাষ্ট্রের চাপেও সামরিক ব্যয় বাড়াতে নারাজ জার্মানি

ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও সামরিক ব্যয় বাড়াতে রাজি নয় জার্মানি। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গত শুক্রবার ন্যাটোভুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে  জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন।

গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘জার্মানি তার জিডিপির দুই শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করবে, এটা কোনও বাস্তবসম্মত কথা নয়।’ তিনি বলেন, ‘যখন খরচের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলা হয়, তখন উন্নয়ন খাতে আমরা যে খরচ করি, তাকেও হিসেবের খাতায় নিতে হবে। শুধু সামরিক ব্যয় দিয়ে তার পরিমাপ করা যায় না।’  প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ওয়েলস সম্মেলনে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো নিজেদের জিডিপির দুই শতাংশের সমান অর্থ জোটের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ দিতে সম্মত হয়েছিল।

এর আগে ওই বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর জন্য চাপ দেন। টিলারসন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা স্পষ্ট করে বলেছেন তা হল, ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অনানুপাতিক ভার বহন করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আর সম্ভব নয়।’ টিলারসন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে বরাদ্দ বৃদ্ধির ব্যাপারে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পরিকল্পনা উপস্থাপনের আহবান জানান। এর পাশাপাশি টিলারসন ইউক্রেনে রুশ ‘আগ্রাসনের’ সমালোচনা করেন।

টিলারসনের মতো ন্যাটো প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গও জোটভুক্ত দেশগুলোর সামরিক ব্যয় বাড়াতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কূটনীতি, উন্নয়ন বা আর্থিক সহযোগিতা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি। এজন্য জিডিপির ০.৭ শতাংশ বরাদ্দ থাকার কথা নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু সামরিক খাতে যে দুই শতাংশ বরাদ্দের চুক্তি হয়েছে, তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটা উন্নয়ন ও নিরাপত্তার মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার বিষয় নয়।’ উল্লেখ্য, আগামী ২৫ মে ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসি ও রয়টার্স।