বাতিল হচ্ছে ঈগলুর ঘি উৎপাদন লাইসেন্স

মানোত্তীর্ণ না হওয়ায় বাতিল করা হচ্ছে আবদুল মোনেম লিমিটেডের মালিকানাধীন মেসার্স ঈগলু ফুড লিমিটেডের ঘি উৎপাদনের লাইসেন্স। লাইসেন্স বাতিলের সব প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শেষ করে এনেছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসআই)।

বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ মে বিএসটিআইয়ের সার্ভিলেন্স টিম বাজার থেকে ‘ঈগলু’ ব্র্যান্ডের ঘিয়ের নমুনা সংগ্রহ করে। ঈগলু ফুড লিমিটেড উৎপাদিত এ ঘিয়ের নমুনার ১২টি প্যারামিটার পরীক্ষা করা হয়। বাংলাদেশ মান ৯০৮:২০১২ অনুযায়ী এ পরীক্ষা করে বিএসটিআই। এতে দেখা যায়, ঘিয়ের ময়েশ্চার, অ্যাসিড ভ্যালু ও ফ্যাট— এ তিন গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারে নির্দিষ্ট মান রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ঈগলু।

এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন এ ব্র্যান্ডের ঘিয়ের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটি বরাবর কারণ দর্শানো নোটিস পাঠায় বিএসটিআই। নোটিসটির জবাব গত বছরের ২৯ জুনের মধ্যে জানাতে বলা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ মানের সমপর্যায়ের না হওয়ায় ঘি পণ্য বিক্রি ও বিতরণ এবং এর বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচারও বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্ণিত বিষয়ে বিএসটিআইকে অবহিত না করলে অথবা সন্তোষজনক জবাব না পেলে কর্তৃপক্ষ বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে বলেও জানানো হয় নোটিসে।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিম্নমানের ঘি বাজারজাতের এ অভিযোগ মানতে রাজি না হওয়ায় গত ১৮ ডিসেম্বর খোলাবাজার ও ঈগলু ফুডের শ্যামপুরের কারখানা থেকে আবারো নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই নমুনা পরীক্ষায়ও উতরাতে ব্যর্থ হয় ঈগলু। পরে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ ঈগলু ব্র্যান্ডের ঘি উৎপাদনের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

জানতে চাইলে বিএসটিআই পরিচালক (সিএম, অতিরিক্ত) প্রকৌশলী এসএম ইসহাক আলী বণিক বার্তাকে বলেন, ঈগলু ব্র্যান্ডের ঘিয়ের নমুনা পরীক্ষা করে প্রথম দফায় মান খারাপ পাওয়ায় তাদেরকে সংশোধনের জন্য কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও মান খারাপ পাওয়া যায়। এজন্য তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।