কানপুরের রেল দুর্ঘটনার পেছনে আইএসআই, দাবি বিহার পুলিশের

ভারতের কানপুরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র নির্দেশনায় ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করছে বিহার পুলিশ। কানপুরের কাছে বড় এই দুই ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৫১ জন নিহত হয়, আহত ২ শতাধিক মানুষ।

বিহারের ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে  উমাশঙ্কর পাটেল, মতিলাল পাসওয়ান ও মুকেশ যাদব নামের তিনজনকে আটকের পরে বিহার পুলিশ এ দাবি করেছে। পুলিশের ভাষ্য এই তিনজন দুবাই ভিত্তিক আইএসআই’র একজন নেপালি এজেন্টের নির্দেশনায় কাজ করছিলেন।

গত নভেম্বরের ২০ তারিখ কানপুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি উল্টে যাওয়ার পরে ১৫০ জন নিহত হয়। সেই সময় বলা হয়েছিল রেললাইনে ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এনডিটিভির খবরে বিহার পুলিশের বরাতে বলা হয়েছে, কানপুর রেল দুর্ঘটনার পেচনে শামসুল হুদা নামের এক ব্যক্তি রয়েছে যে দিল্লিতে থাকে এবং আরেকজন আছে ব্রজকিশোর গিরি যিনি নেপালের নাগরিক।

শামসুল হুদার নির্দেশনায় গিরি ও কয়েকজন ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের লাইনে বোমা পেতে রাখে। লাইনের ক্ষতি করতে তারা গ্যাস কাটারও ব্যবহার করে বলে দাবি করা হয়। বলা হচ্ছে শামসুল হুদা আইএসআই সংশ্লিষ্ট। বিহারে আটক হওয়া ব্যক্তিরা শামসুল হুদার ভূমিকার কথা পুলিশকে জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, নেপালি নাগরিক ব্রজকিশোর গিরির হয়ে কাজ করছিলেন।

এই তিনজনকে বিহারের মতিহারিতে দুই যুবককে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয়। নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া মতি পাসওয়ান জবানবন্দিতে বলেছে গত অক্টোবরের ১ তারিখ অরুণ ও দীপক রাম নামের ওই দুই যুবককে ব্রজকিশোর গিরি হত্যা করে। ওই দুই যুবককে নেপাল সীমান্তে চাম্পারামের কাছে একটি ট্রেন বিস্ফোরণের মাধ্যমে লাইনচ্যুত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তারা ফিরে আসে। ওই হামলার জন্য শামসুল হুদা ২০-২৫ লাখ রূপি দিয়েছিল বলে পাসওয়ান জানিয়েছে।

মতি পাসওয়ানের বরাতে সূত্র জানায়, শামসুল হুদা রাগান্বিত হয়ে ওই দুই যুবককে হত্যার নির্দেশ দেয় এবং তাদের হত্যার ভিডিও করে তার কাছে পাঠাতে বলে। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা কানপুরের দুর্ঘটনার বিষয়ে ‘ইতিবাচক সূত্র’ দিয়েছে যা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে।