যমুনা ফিউচার পার্কে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, উৎসুক জনতার ভিড়

এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে এসে পৌঁছেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

গত ২ মার্চ ভারতের মুম্বাই থেকে সফর শুরু করে শনিবার সকালে ট্রফিটি ঢাকায় পৌঁছায়। আইসিসির ইভেন্ট ম্যানেজার সারাহ এডগার ট্রফিটির সঙ্গে ঢাকা আসেন। এরপর সকাল ১১টা থেকে যমুনা ফিউচার পার্কের সেন্টার কোর্টে প্রদর্শনীর জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটি রাখা হয়।

প্রদর্শনের শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হেড অব সিকিউরিটি মেজর (অব.) ইমাম, নির্বাহী কর্মকর্তা (কমার্শিয়াল) আসিফুল ইসলাম, নির্বাহী কর্মকর্তা (প্রশাসন) আসিদুল ইসলাম, পুলিশের এডিসি (বাড্ডা জোন) মানস কুমার পোদ্দার, ভাটারা থানার ওসি নুরুল মোত্তাকিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া যমুনা ফিউচার পার্কের ডিরেক্টর মো. আমিনুল হাসান, জিএম (কাস্টমার সার্ভিস) মো. শাহেদ আলী, ডিজিএম (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. কামরুল হাসান ও ম্যানেজার (ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন) সালাহউদ্দিন সিকদার সুমন উপস্থিত ছিলেন।

ট্রফিটি দেখতে উৎসুক জনতার সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীরা ফিউচার পার্কে ভিড় করতে শুরু করেছেন। সকালেই লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃংখলভাবে আগতদের ট্রফি দেখতে এবং স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তুলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ট্রফি দেখতে মারিয়াম এসেছেন মতিঝিল থেকে। যমুনা টিভি ও যুগান্তর অনলাইনে নিউজ দেখে বাবাকে সঙ্গে নিয়েই ট্রফি দেখতে ছুটে এসেছেন তিনি।

মারিয়াম বলেন, ‘বাবা একজন ক্রিকেটার ছিলেন। এজন্য আমরা পুরো পরিবার ক্রিকেট পাগল। দোয়া করছি এবারের ট্রফিটা যেন বাংলাদেশে আসে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য যমুনা কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ক্রিকেটপ্রেমীরা আজ শনি এবং আগামীকাল রোববার দু’দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ট্রফিটি যমুনা ফিউচার পার্কে এসে দেখতে পারবেন।

এদিকে যমুনা ফিউচার পার্কে প্রদর্শনী শেষে ২০ মার্চ ট্রফিটি নিয়ে যাওয়া হবে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর সেটি জাতীয় সংসদ ভবনে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ট্রফিটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে বলে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে।

এরপর আগামী ২১ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ট্রফিটি অংশগ্রহণকারী মোট আট দেশের ১৯টি শহর প্রদক্ষিণ করবে। ২২ থেকে ২৫ মার্চ চার দিন ট্রফিটি অবস্থান করবে শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোয়। সেখান থেকে ২৮ মার্চ যাবে পাকিস্তানের করাচিতে। সেখানে থাকবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।

পরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাত্রা করবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ৪ থেকে ১২ এপ্রিল জোহানেসবার্গ, ডারবান এবং কেপটাউনে ভ্রমণ শেষে ১৫ এপ্রিল ট্রফি যাবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। সেখানে চার দিন অবস্থান করার পর ১৯ এপ্রিল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ট্রফিটি মেলবোর্ন এবং সিডনি সফর করবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত । সেখান থেকে টুর্নামেন্টের ৩০ দিন আগে পৌঁছবে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ডে।

বিশ্বকাপের পরই আইসিসির সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। র‌্যাংকিংয়ে থাকা সেরা আটটি দল নিয়ে ১ জুন ইংল্যান্ডে শুরু হবে আইসিসির দ্বিতীয় সেরা এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলে এবার বাংলাদেশ খেলবে আইসিসির এই টুর্নামেন্টে।