জয়নুল আবেদীনের নামে অ্যাওয়ার্ড দেবে ডিআরইউ

এখন থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের সাংস্কৃতিক বিভাগের সেরা প্রতিবেদনটি ‘ডিআরইউ-জয়নুল আবেদীন’ নামে দেয়া হবে। সদ্যপ্রয়াত ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক জয়নুল আবেদীনের স্মরণে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত শোক সভায় এই ঘোষণা দেন ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।

শোকসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জয়নুল আবেদীন বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। একজন অবাঙালি হয়েও তিনি ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। বাংলা ভাষার টানেই তিনি আমৃত্যু এই দেশে থেকে যান। কেবল সাংবাদিকতাই নয়, বাংলা চলচ্চিত্রেও তিনি ছিলেন একজন দিকপাল।

ডিআরইউ এর প্রয়াত এই সদস্য সাংবাদিককে সম্মান জানাতেই সেরা সাংস্কৃতিক প্রতিবেদনটির জন্য প্রদত্ত অ্যাওয়ার্ডটি তার নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি। শোকসভার শুরুতে প্রয়াত জয়নুল আবেদীনের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর সঞ্চালনায় শোকসভায় প্রয়াত জয়নুল আবেদীনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন প্রবীণ সাংবাদিক ও গীতিকার কেজি মোস্তফা, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম সাবু, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, প্রয়াত জয়নুল আবেদীনের ছোট ভাই সিরাজ উদ্দিন, ডিইউজে (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুর রহমান খান, বিএফইউজের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সাংবাদিক কাজিম রেজা ও শাহনাজ পলি প্রমুখ।

শোকসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ এর সহ-সভাপতি আবু দারদা যোবায়ের, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আ ন ম কুদরাত ই খোদা, বর্তমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামাল, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, আপ্যায়ন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সুমন, মাইনুল হাসান সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন ও সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমুখ।