খালেদা আদালতে হাজিরা দেবেন কাল

রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিচারিক আদালতে হাজিরা দেবেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে মামলাগুলোর অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

আজ সোমবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এসব মামলায় শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসন আগামীকাল আদালতে হাজির হবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার বিরুদ্ধে এসব মামলায় অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। তাই আগামীকাল মামলাগুলোর শুনানির ধার্য দিনে তিনি আদালতে উপস্থিত হবেন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

ওই দিন খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’

এই মামলায় ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।

এছাড়া ২০১৫ সালে মিরপুরের দারুসসালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।

এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

গত বছর এই ১১টি মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র দেওয়ার পর খালেদা জিয়া এসব মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।