এমপি রানার বহিষ্কার চেয়ে সড়ক অবরোধ

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি স্থানীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার সহযোগীদের আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের বিজয় ৭১ চত্বরে এই অবরোধ ও সমাবেশ পালন করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান, ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান খান, লোকের পাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন, জিপিজি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি আবু সাঈদ রুবেল, এ জি এস রঞ্জু আহমেদ প্রমুখ।

সমাবেশে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তাকে দ্রুত দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইল শহরের তার কলেজপাড়া এলাকায় বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে।

২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হন। টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে এমপি রানা ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।